প্রভাতি সংবাদ ডেস্ক:
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কন্যা শিশুসহ ১৩ নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাতে রাজ্যটিতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন দুর্ঘটনাক্রমে তারা একটি কুয়ার মধ্যে পড়ে গেলে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। মর্মান্তিক ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর জেলার একটি গ্রামে ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় মিডিয়া এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর জেলার নেবুয়া নওরঙ্গিয়া থানার নওরঙ্গিয়া স্কুল টোলায় একটি বাড়িতে বুধবার দিবাগত রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানেই পুরাতন একটি কুয়ার ওপর রাখা লোহার স্লাবে বসে আনন্দ করছিলেন নারী ও শিশুরা।
আনন্দ করার মাঝেই হঠাৎ স্লাব ভেঙে কুয়ার ভেতরে পড়ে যান অনেকে। যদিও এরপর তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ১৩ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এছাড়া ওই ঘটনায় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ দিকে ঘটনাটির বেশ কয়েকটি ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে হতাহতদের আত্মীয়-স্বজনকে বিয়ের পোশাকেই হাসপাতালে আহাজারি করতে দেখা যায়।
কুশিনগর জেলার ম্যাজিস্ট্রেট এস রাজালিঙ্গম মিডিয়াকর্মীদের বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে কুয়ায় পড়ে গিয়ে ১৩ জন নিহত এবং আরও ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। কুয়ার ওপরে স্লাবে বসে থাকা অবস্থায় সেটি ভেঙে তারা নিচে পড়ে যান। অতিরিক্ত ওজনের কারণে স্লাবটি ভেঙে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এনডিটিভি বলছে, কুশিনগর জেলার নেবুয়া নওরঙ্গিয়া থানার নওরঙ্গিয়া স্কুল টোলার ওই বাড়িতে বুধবার রাতে স্থানীয় নারীদের অংশগ্রহণে বিয়ের হলুদের অনুষ্ঠান ছিল। আর এ কারণেই অনেক নারী ও কিশোরী বাড়িটিতে ভিড় করেছিলেন। এরপরই ঘটনার এক পর্যায়ে সেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে বিয়ের আসর কার্যত শোকে পরিণত হয়।
এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিয়ের অনুষ্ঠানে এতো প্রাণহানির ঘটনাকে ‘হৃদয়-বিদারক’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। অপর দিকে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সবার পরিবারকে চার লাখ রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।