প্রভাতি সংবাদ:
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনার দিন রবিবার (২০ মার্চ) ৬ জন এবং পরদিন সোমবার দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন দৈনিক অধিকারকে এ তথ্য জানান।
উদ্ধার হওয়া ৮ জন হলো মুন্সীগঞ্জ সদরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার মৃত জুলফিকার আলীর ছেলে জয়নাল ভুইয়া (৫২), মুন্সীগঞ্জের রমজান নগর এলাকার দ্বীন ইসলামের স্ত্রী আরিফা বেগম (৩৫), তার শিশুপুত্র সাফায়েত হোসেন (১৫ মাস), গজারিয়ার ইসমাইলের চর এলাকার জয়রাজ বংশীর ছেলে স্মৃতি রাণী বর্মণ (১৯), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের দেলরবাগ এলাকার আবু তাহের সরকারের স্ত্রী উম্মে খায়রুন ফাতেমা (৪৫), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আজিজ মিয়ার মেয়ে সালমা (৩৩), একই এলাকার ইউনুস খলিফার মেয়ে শিশু ফাতেমা (৭) এবং অজ্ঞাতনামা একজন।
এর মধ্যে নিহত উম্মে খায়রুন ফাতেমা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যরবাজার হারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। লঞ্চডুবির সময় তার স্বামী আবু তাহের সরকারও ওই লঞ্চে ছিলেন। তবে ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেলেও তার স্ত্রী পানিতে ডুবে যায়।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ভেতরে কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। আজ ভাসমান অবস্থায় দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট লাশের সংখ্যা ৮ জন হলো।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও নৌ-পুলিশ, বিআইডব্লিউটি’র ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ডসহ একাধিক সংস্থা অংশ নিয়েছে।