প্রভাতি সংবাদ ডেস্ক:
অবশেষে সমগ্র আফগানিস্তান দখল করল তালিবান।
মসনদে ফিরল তারা কুড়ি বছর পর।
রবিবারই কাবুলের দোরগোড়ায় তালিবান উপস্থিত হওয়ার পরেই বোঝা গিয়েছিল অপেক্ষা আর সামান্যই।
তালিবানের এক মুখপাত্র জানিয়ে দেন, জনবহুল কাবুলে যুদ্ধ করতে চায় না তালিবান। আলোচনার মাধ্যমেই আফগান সরকারের থেকে ক্ষমতার হস্তান্তর চায় তারা।
এরপরই আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি ইস্তফা দেন। আর এরপরই আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের নয়া অধ্যায়ের সূচনা হয়।
আফগানিস্তানের অর্ন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন আলি আহমেদ জালালি।
এদিকে আফগানিস্তানের বিভিন্ন জেলে বন্দি তালিবানদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় নেমেছে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের ঢল। দ্রুত সরানো হচ্ছে আফগানিস্তানে থাকা ভারতীয়দের। যোদ্ধাদের হিংসা এড়ানোর নির্দেশ তালিবান শীর্ষ নেতৃত্বের। প্রেসিডেন্ট ভবন ঘিরে ফেলেছে তালিবান সেনা।
শনিবার রাতে মাজার-ই-শরিফ ও রবিবার সকালে জালালাবাদের মতো দু’টি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে ফেলেছিল তালিবানরা। তখনই বোঝা গিয়েছিল সম্ভবত আজই কাবুলে ঢুকে পড়বে তালিবানরা। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই কাবুলে প্রবেশ করে তালিবান।
গত কয়েকদিনেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বিষয়টা। তালিবানের দখলদারির দাপটে শীঘ্রই যে কাবুলে উড়তে চলেছে জঙ্গিদের পতাকা তা এররকম নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল। দেশের স্বার্থে তালিবানকে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আফগান সরকার। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কার্যত অসহায় আফগানিস্তানের প্রশাসন। কান্নাভেজা গলায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। তিনি আক্ষেপের সুরে জানান, গত ২০ বছরে যা যা ফিরে পাওয়া গিয়েছিল, তা সবই আবার হারিয়ে গেল।