যশোর প্রতিনিধি:
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন মানুষ। চীনা সিনোফার্মের টিকার সংকটের কারণে রোববার থেকে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তবে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ চালু আছে। সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলছেন টিকার সংকট সাময়িক সময়ের জন্য। দুই একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
সূত্র জানায়, প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকা পর ৯ জুলাই থেকে যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং ইনস্টিটিউটে টিকাদান শুরু হয়। প্রথমে করোনার টিকা গ্রহণে মানুষজনের মধ্যে আগ্রহ কম থাকলেও জুলাই মাস থেকে করোনার টিকা গ্রহণ করছেন মানুষ।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় টিকা কেন্দ্রে লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। শ’ শ’ টিকাপ্রত্যাশী ছুটে আসছেন হাসপাতালে। অথচ হাসপাতাল থেকে নেই বলে জানানো হচ্ছে। এ নিয়ে ঝামেলাও হয়েছে টিকাপ্রত্যাশীদের সাথে হাসপাতাল কর্মচারীদের।
টিকা না পেয়ে ক্ষোভ দেখা দেয় আগত মানুষের মধ্যে। সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন সিনোফার্মের টিকার সংকটের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই একদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এদিকে, যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, মৃত তিনজনের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী। বর্তমানে হাসপাতালে ৫৫ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন চারশ’ ৫৬ জন। গত সাতদিনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে আক্রান্ত ও মৃত্যু কমেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় তিনশ’ একজনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৯৬ ভাগ। এদিন করোনার টিকা নিয়েছেন দুই হাজার একশ’ ৩৯ জন। এরমধ্যে প্রথম ডোজ নেন নয়শ’ ৪৯ ও দ্বিতীয় ডোজ নেন এক হাজার একশ’ ৯০ জন।