More

    করোনা: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে মৃত্যু বেশি কেন?

    প্রভাতী বার্তাকক্ষ:

    খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি লাগামছাড়া মৃত্যুর সংখ্যাও।

    চিকিৎসকরা বলছেন, আক্রান্তরা সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসছেন না।

    তবে রোগীর স্বজন ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে চিকিৎসা ব্যবস্থার দুর্বলতায় মূলত রোগী মৃত্যুর হার বাড়িয়ে তুলেছে।

    খুলনা বিভাগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও যশোর জেনারেল হাসপাতাল ছাড়া মানসম্মত হাসপাতাল নেই।

    অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া আর কোন ভাল চিকিৎসা কেন্দ্র নেই।

    এই হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় আইসিইউ একেবারেই কম। ফলে বেশি সংখ্যক রোগীকে সাপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে না। অবস্থার অবনতি হলেই ঢাকাতে নিয়ে যেতে হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে রোগীরা যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না।

    খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, ‘যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই হাসপাতালে আসছেন শেষ মুহুর্তে। তাদের শারীরিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে ততক্ষণে।

    তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ রোগীর অক্সিজেন লেভেল নেমে যাচ্ছে ৮০ এর নিচে। এ সমস্ত রোগীরাই মৃত্যুর তালিকা বাড়াচ্ছে।’

    চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ বলছে, যেসব রোগীদের ডায়বেটিক বেশি, হার্টের সমস্যা রয়েছে, লিভারের রোগে আক্রান্ত ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত এরা করোনায় আক্রান্ত হলেই তাদের অক্সিজেন লেভেল কমে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েও তাদের বাঁচিয়ে রাখতে পারছেন না।

    খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘যেসব রোগীরা গ্রাম থেকে এসে ভর্তি হচ্ছেন তারা অধিকাংশই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অনেকে আবার চিকিৎসকদের ফোন করে হাসপাতালে ভর্তি হতে চান। সে সময় দেখা যায় তাদের স্যাচুরেশন ৮০র নিচে।

    ‘প্রথম থেকে তারা যথাযথ চিকিৎসা নেননি অথবা করোনার পরীক্ষা করাচ্ছেন অনেক দেরিতে। ফলে করোনার সংক্রমণে দেহের যে ক্ষতি হওয়ার সেটা আগেই হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষা বা ট্রিটমেন্ট যদি শুরু থেকেই নেয়া হতো তাহলে হয়ত রোগীদের বাঁচানো সম্ভব হতো।’

    তিনি বলেন, ‘এর পাশাপাশি যেসব রোগীরা মারা যাচ্ছে তাদের বেশিরভাগই অ্যাজমা, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশারে আক্রান্ত। এছাড়া বয়স্ক রোগী বেশি মারা যাচ্ছেন।’

    শনিবার সকাল থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে ৭ জন রোগী। এরমধ্যে দুই জনের বয়স ৫২ ও ৫৫। বাকিদের বয়স ষাটের বেশি।

    জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন ২ জন, যাদের বয়স ষাটের বেশি।

    খুলনা বিভাগে এত মৃত্যু ‘চিকিৎসায় বিলম্বে’

    গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া ৬ জনের মধ্যে একজনের বয়স ২৭। বাকিদের বয়স ৬৫ বছরের উপরে।

    খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা বাড়াতে খুলনা মেডিক্যালে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। এখন ১৩০টি শয্যা রয়েছে। সোমবার থেকে আরও ২০টি শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে আরও ৫০টি শয্যা চালু করা হবে।

    রাজশাহীতে করোনা প্রকোপ বেড়েই চলছে, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিলও। গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    রোববার সকাল ৮ টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা, এ ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ৬ জন নারী, ১২ জন পুরুষ। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।

    তিনি বলেন, ‘মৃতদের মধ্যে ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নিয়ে। তাদের মধ্যে ১ জনের করোনা নেগেটিভও হয়েছিল।’

    এর আগে শনিবার সকাল থেকে রবিবার সকালের মধ্যে ১২ জন মারা যান।

    মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ৮ জন, নওগাঁর ৪, নাটোরের ৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনার ও কুষ্টিয়ার ১ জন করে।

    হাসপাতালটির করোনা ইউনিটে গত ৫ দিনে ৮২ জনের মৃত্যু হল।

    করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে ৬৯ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ সময় সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৮ জন।

    বর্তমানে এখানে ৪৯৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। করোনা বিশেষায়িত ইউনিটে শয্যা সংখ্যা ৪০৫টি।

    এদিকে, রোববার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুটি ল্যাবে ৬৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১৮ জনের দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।

    রাজশাহী জেলার ৬১৬ নমুনা পরীক্ষা করে ২১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। চাঁপাইনবাগঞ্জের ৩৮ জনের নমুনার মধ্যে ৮টি পজেটিভ এসেছে।

    যশোরে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪২ শতাংশ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট

    যশোরে করোনার ভারতীয় ডেল্টা ধরণ ৪২ শতাংশ ও আফ্রিকার গামা ধরণ ৩০ শতাংশ ছড়িয়ে পড়েছে। যা এখন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতীয় ধরণে আক্রান্ত একজন রোগী ৬ জনকে আক্রান্ত করছে। তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার আশংকা ৮৩ শতাংশ, আর আফ্রিকার ধরণে হৃদরোগে আক্রান্ত হবার আশংকা ৬০ শতাংশ।

    যশোর জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দেড়শ’ ছাড়ালো। এই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪২ জনের। ৫৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সনাক্তের এই সংখ্যা পাওয়া গেছে।

    যশোর বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ড, ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, যশোরে করোনার ভারতীয় ডেল্টা ধরণ ৪২ শতাংশ ও আফ্রিকার গামা ধরণ ৩০ শতাংশ ছড়িয়ে পড়েছে। যা এখন গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতীয় ধরণে আক্রান্ত একজন রোগী ৬ জনকে আক্রান্ত করছে। তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার আশংকা ৮৩ শতাংশ, আর আফ্রিকার ধরণে হৃদরোগে আক্রান্ত হবার আশংকা ৬০ শতাংশ। এটাকে আটকাতে হলে দ্রুত টিকাদান অথবা মানুষের শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে হবে। না পারলে সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি আসতে পারে।

    যশোরের জেলা প্রশাসক মো: তমিজুল ইসলাম খান জানান, যশোরে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। শনাক্তের উর্ধ্বগতি রুখতে কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকরে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। বিধিনিষেধ প্রতিপালনে গতকাল থেকে সেবাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। করোনা রুখতে জনগণকেও সচেতন হওয়ার পাশাপাশি বিধিনিষেধ প্রতিপালনে সকলের সহযোগিতাও কামনা করেছেন তিনি।

    করোনা’র দ্বিতীয় ধাক্কা প্রতিরোধে লকডাউন

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে শাটডাউন। শাটডাউন বাস্তবায়নে সরকার সর্বোচ্চ কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।

    শাটডাউনের সময় জরুরি কারণ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে এলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরকারি এক তথ্য বিবরণী জারি করা হয়েছিল।

    এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে সাতদিনের জন্য জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল এবং বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    এ সময়ে জরুরি পরিসেবা কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ছাড়া এবং জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। যদি কেউ বের হয় তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিধি নিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রজ্ঞাপনে দেয়া হয়। সবাইকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

    মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে খোলা থাকবে কাঁচাবাজার। কিন্তু সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করতে হবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন, বাজার কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের শাটডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে সরকার। এ নির্দেশ অমান্য করে কেউ বাড়ির বাইরে গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার দেয়া এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত এই শাটডাউন বা বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।

    তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আর জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তারা কারা সেটাও নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

    এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন, বাজার কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। ফলে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে এবং চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকারের জন্য বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে।

    শাটডাউনে কারা বের হতে পারবে, কারা পারবে না?

    যারা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নেবেন, তারা টিকা কার্ড দেখিয়ে বাইরে বের হতে পারবেন। আর খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।

    আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকায় বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকিট দেখিয়ে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে নামাজের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দেবে সেভাবে চলতে হবে।

    সরকার শাটডাউন বাস্তবায়নে এবার সেনাবাহিনীকেও মাঠে নামাচ্ছে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠপর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয়সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে।

    জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এ ছাড়াও শাটডাউন বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার।

    তারা কীভাবে টহল দেবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সিদ্ধান্ত নেবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। মাঠে থাকবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

    আইনানুগ ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

    © এই নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
    / month
    placeholder text

    সর্বশেষ

    রাজনীাত

    বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য বিদেশে হাসপাতাল খোজা হচ্ছে

    প্রভাতী সংবাদ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্যে আবেদন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেন আবেদনে সরকারের দিক থেকে ইতিবাচক...

    আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ

    আরো পড়ুন

    Leave a reply

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    spot_imgspot_img