চলতি বছরের শুরু থেকে ৩১ জুলাই বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ২ হাজার ৬৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৭৪৯ জন রোগী।
নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনার প্রচণ্ড তাণ্ডবের মধ্যেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে ১৯৬ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ডেঙ্গু বিষয়ক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গণমাধ্যমকে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৯৬ জন। এর মধ্যে ঢাকাতেই ১৯৪ আর ঢাকার বাইরে ২ জন ভর্তি হয়েছেন ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ৭৭৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে ৭৪৭ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৩০ জন রোগী ডেঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের শুরু থেকে ৩১ জুলাই বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ২ হাজার ৬৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৭৪৯ জন রোগী।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআরে ডেঙ্গু সন্দেহে চার জনের মৃতের তথ্য পাঠানো হয়েছে।
করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ২১৮ জনের মৃত্যু
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২১৮ জনের মৃত্যুর হয়েছে। এ নিয়ে এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২০ হাজার ৬৮৫ জনে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মৃত্যু সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় আবার বেড়েছে। আগের দিন ২১২ জনের মৃত্যু হলেও এদিন বেড়ে ২১৮ জন হয়েছে।
এই সময়ে দেশে ভাইরাসে আক্রান্তের হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৩৬৯ জন, গতদিনে শনাক্ত ছিল ১৩ হাজার ৮৬২ জন। সর্বমোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এ নিয়ে শনিবার পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ জনে এসে দাঁড়ালো।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৭৬ জনের, পরীক্ষা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৮০ জনের।
দেশব্যাপী এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৭ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪ জনের। আর এখন পর্যন্ত কোভিড পরীক্ষায় সর্বমোট ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশের মধ্যে ভাইরাসটির অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।
অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে মৃতের সংখ্যা।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগ ভিত্তিক সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগের, ৬৭ জন মারা গিয়েছে এ বিভাগে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫, খুলনায় ২৭, রাজশাহী বিভাগে ২২, রংপুর বিভাগে ১৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ১২, বরিশাল বিভাগে ১০ ও সিলেট বিভাগে ৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০০ বছরের বেশি ২, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ৪, ৮১ থেকে ৯০ বছরের ১৫, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ৩৩, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ৬৬, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩৭, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩৭, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৭, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৬ ও ১ থেকে ১০ বছরের এক শিশু মারা গিয়েছে মারা গিয়েছে, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী কেউ মারা যায়নি।
গত বছরের ৮ মার্চ সর্বপ্রথম প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় বাংলাদেশে। আর ১৮ মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু ঘটে বাংলাদেশে।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মতো দেওয়া হয়েছে লকডাউন। আগামী ৫ আগষ্ট পর্যন্ত চলবে এ লকডাউন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় চলতে পারে এ লকডাউন।