যশোর প্রতিনিধি:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে ঢাকার বাইরে প্রথম যশোরে চালু হলো ই-পাসপোর্ট পার্সোনালাইজেশন সেল। এখন থেকে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় যশোরেই ছাপা হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার আন্তর্জাতিকমানের ই-পাসপোর্ট।
এখন থেকে পাসপোর্ট সংক্রান্ত নথিপত্র ঢাকায় পাঠাতে হবে না। রোববার যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট পার্সোনালাইজেশন সেল উদ্বোধন করেন পার্সপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আইয়ুব চৌধুরী। ১০ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাহার ৬৩৫ কোটি টাকা।
আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার মানুষের জীবনকে করে সহজ ও স্বাচ্ছন্দময়। সময়ের প্রয়োজনে যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলাতে ইমিগ্রেশন পাসপোর্ট অধিদপ্তরও পাসপোর্ট ও ভিসা সেবায় নতুন নতুন প্রযুক্তি বৃদ্ধি করেছে। যা প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শিতামুলক চিন্তার সফল বাস্তবায়ন।
তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মুজিব বর্ষের উপহার হিসাবে সাধারণ জনগণের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে ই-পাসপোর্ট। উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল মো. আইয়ুব চৌধুরী বলেন, এই সেলের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার গ্রাহকদের কাছে ই-পার্সপোর্ট পৌছে দেওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি ঢাকার পার্সোনালাইজেশনের ব্যাক আপ হিসেবে কাজ করবে। চুড়ান্তভাবে এর মাধ্যমে পার্সপোর্ট অধিদপ্তর দৈনিক ২৫ হাজার ই-পার্সপোর্ট প্রিন্টিং এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলো।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ই-পার্সপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার সাইদুর রহমান খান, যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, যশোর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার ও প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।