নিজস্ব প্রতিবেদক
সোমবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন জানায়, মিশনে আসা জাতিসংঘ ও সদস্য রাষ্ট্রসমূহের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিবর্গের বৈঠকের জন্য লাউঞ্জটি ব্যবহৃত হবে। ফলে তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ সম্বন্ধে ধারণা লাভের সুযোগ পাবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘লাউঞ্জটিতে বিভিন্ন বই, ছবি, প্রামাণ্যচিত্র ও গ্রাফিক্যাল ডিসপ্লের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। বহুপাক্ষিকতাবাদ, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি জাতির পিতার যে গভীর আস্থা ও বিশ্বাস ছিল, বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জের এই সংগ্রহ যেন তা-ই ফুটিয়ে তুলেছে।’
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, গতবছর লাউঞ্জটির স্থাপনের কাজ শেষ হলেও কোভিড-১৯ জনিত কারণে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সম্ভব হয়নি। এটি অত্যন্ত আনন্দের যে, অবশেষে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লাউঞ্জটি উদ্বোধনের জন্য পেয়েছি। আমার বিশ্বাস, লাউঞ্জটি মিশনে আগত সুধিজনদের বিশ্ব শান্তির প্রতি জাতির পিতার স্বপ্ন ও আদর্শের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে।
সোমবার (১৪ জুন) পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল খারে।
জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। সেই থেকে বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদান উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারি সফরে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন।জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তিনি এলডিসিবিষয়ক একটি যৌথ থিমেটিক সভায় অংশ নেবেন।
এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব, সাধারণ পরিষদের সভাপতিসহ জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জাতিসংঘ সদরদফতর ও অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য ‘মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি : সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের অবস্থা’ ও ‘স্বল্পোন্নত দেশসমূহের টেকসই উত্তরণ এবং পুনরায় ফিরে আসা রোধে সক্ষমতা বিনির্মাণ’ শীর্ষক দুটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।