নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এই সেনানিবাস উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই পররাষ্ট্রনীতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না, যুদ্ধ আমরা করবো না। কিন্তু আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, কখনও যদি বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়; আমরা যেন তা প্রতিরোধ করতে পারি এবং আমরা যেন আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি। সেভাবেই দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত, প্রশিক্ষিত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
সেনানিবাসের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার জন্য শেখ রাসেল সেনানিবাস দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা, প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নৌপথের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
বলা হয়, পদ্মাসেতুর নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি শেখ রাসেল সেনানিবাসের সদস্যরা সেনাবাহিনীর নিয়মিত অপারেশনাল প্রশিক্ষণ এবং প্রশাসনিক কর্মকান্ড অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। এছাড়াও অত্র এলাকার সার্বিক মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
নতুন সেনানিবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রজ্ঞা, পেশাগত দক্ষতা ও কর্তব্যপরায়ণতা দিয়ে আমাদের দেশের সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করবে।
পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, পদ্মাসেতুর নিরাপত্তা বিধানও একান্তভাবে প্রয়োজন। সেই নিরাপত্তা বিধানের জন্যই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যেহেতু কিছুদিনের মধ্যেই যান চলাচল শুরু হয়ে যাবে। কাজেই সেতুর নিরাপত্তা বিধান অপরিহার্য।
এসময় সেনানিবাস এলাকায় উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।