নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হয়েছে। তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় সেখানে একটি রিং পরানো হয়। শনিবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বোর্ডে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুক্রবার রাতে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিলে রাত ৩টা ২০ মিনিটে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মীরা রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান।
দুপুরে চিকিৎসকদের বোর্ড সভা থেকে বেরিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের মিটিং শেষ হয়েছে। আমরা সেখানে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজনে এনজিওগ্রাম করানো লাগবে। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অবস্থা বুঝতে পারবো। খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এরচেয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়াকে ৭২ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এর আগে মেডিকেল বোর্ডের সভায় জাহিদ চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ডাক্তার হিসেবে যা করা দরকার, করবেন। তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী, বয়স্ক মহিলা ও আপনাদের নিয়মিত রোগী। এখন কি করা উচিত, আপনারা পরামর্শ দেবেন। তারপরে সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনার বিষয়। আপনারা চিকিৎসা করেন, রোগীর ওপর, রোগের কি প্রয়োজন সেটার ওপর। তার পরবর্তী বিবেচনা যাদের দরকার, তারা যদি করতে পারেন, করবেন না করলে নাই।’
ফুসফুস জটিলতা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যা, লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতাল থেকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। এরপর থেকে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থাকেন।