প্রভাতী সংবাদ ডেস্ক:
সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই ফরিদপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের আলোচিত মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন।
গতকাল সোমবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে ফরিদপুর জেলা পুলিশের একটি টিম। বর্তমানে মোহতেশাম হোসেন বাবর ফরিদপুর জেলা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান।
তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং মামলায় মোহতেশাম হোসেন বাবর চার্জসিটভুক্ত পলাতক আসামী ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলা পুলিশের একটি টিম অভিযানে ঢাকার কাফরুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেসব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
২০১৯ সালে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতা গ্রেফতার হন। অনেকেই ফরিদপুর ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দেন।
পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৬ জুন দুই হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার মামলায় ১০ নেতার নামে ঢাকার সিআইডি মামলা করে। সেই মামলায় আসামি করা হয় ফরিদপুর-৩ আসনের সাংসদ, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বারবকে।
এ মামলার অপর আসামীরা হলেন- শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান খন্দকার লেভী, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, সাবেক মন্ত্রীর এপিএস এএইচএম ফোয়াদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান ডেবিট, মুহাম্মদ আলী মিনার, তারিকুল ইসলাম নাসিম।
এ মামলায় কয়েক জন আসামি বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হলেও মোহতেশাম হোসেন বাবর ছিলেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা চার্জসিট ঢাকার সিএমএম আদালতে দাখিল করেন।
একই বছর আদালত ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জসিট গ্রহণ করে আদেশ দেন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। পরবর্তীতে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।