প্রভাতী সংবাদ ডেস্ক:
বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান । লিবিয়ায় নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর তাঁর সন্ধান মিলেছে। জাহিদুর রহমানের সাথে থাকা অন্য দুজনেরও সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা হলেন প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম টিপু এবং লিবীয় গাড়িচালক মোহাম্মদ খালেদ। বর্তমানে তাঁরা লিবীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রয়েছেন।
জাহিদুর রহমানসহ নিখোঁজ অন্য বাংলাদেশিদের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গতকাল মঙ্গলবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁদের কেউ নির্যাতন করেছে বা মুক্তিপণ আদায় করেছে এমন কোনো তথ্য আমরা পাইনি। তাহলে প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই জাগে, চার পাঁচ দিন তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন কেন? তাঁরা কোথায় ছিলেন?’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কী হয়েছিল জানতে হবে। তাঁরা নিরাপদে আছেন। তাঁদের মধ্যে একজন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে লিবিয়ায় গেছেন। এটি তাঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছা, তিনি এরপর কোন দেশে যাবেন। যদি না যান, বাংলাদেশে ফিরে আসতে চাইলে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ওই বাংলাদেশিরা কোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে নেই। কিন্তু এখানে কিছু প্রশ্ন আছে। যেটি তাদের সরাসরি জিজ্ঞাসা করলেই পাওয়া যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লিবিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তারা যে তথ্য সংগ্রহ করেছেন সেগুলো সংগ্রহ করবো। আমরা শুধু একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাই, দুই দেশের সম্পর্ক বা তৃতীয় কোনো রাষ্ট্র বা এরকম কোনো সম্পৃক্ততা বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য সেখানে কারও ছিল কি না। ’
শাহরিয়ার আলম বলেন, আশার কথা হলো তাঁদের আমরা পেয়েছি। তাঁরা নিরাপদে আছেন। এই মুহূর্তে লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে আছেন। তাঁরাও নিশ্চয়ই প্রশ্ন করে তাদের বিষয়টি স্পষ্ট হবেন। কারণ যে কোনো রাষ্ট্রেই বিদেশি কোনো নাগরিক যখন যান বা যাওয়ার পর যখন নিখোঁজ হন তখন অনেকভাবে হতে পারে। আমি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু ধারণা দিচ্ছি না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লিবিয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পর লিবিয়া সরকারের কাছে জানতে চাইবো। ’
উল্লেখ্য, গত ৪ঠা মার্চ টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে লন্ডনে পৌঁছান সাংবাদিক জাহিদুর রহমান। এরপর ২১শে মার্চ তিনি লিবিয়ায় পৌঁছান। ২২শে মার্চ নিজের ফেসবুকে তিনি একটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, গৃহযুদ্ধকবলিত দেশটিতে প্রবেশ ছিল রীতিমতো চ্যালেঞ্জের, ভোগান্তি ও ভয়ের।
তিনি ২৩শে মার্চ ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন লিবিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম টিপু এবং লিবীয় গাড়িচালক মোহাম্মদ খালেদ।