মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের পাঁচটি দেশের শিশুদের মধ্যে এক বিশেষ ধরনের হেপাটাইটিস (জন্ডিস) রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বাকি দেশগুলো হলো ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্পেন।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে প্রথম এই হেপাটাইটিস শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত দেশটিতে এই রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা পৌঁছেছে ৮৪ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে সামনের দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আক্রান্ত এই শিশুদের রক্তে প্রচলিত হেপাটাইটিসের জীবাণু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে এসব দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৯। এরা সবাই উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আলাবামা অঙ্গরাজ্যের এবং বয়স ১ থেকে ৬ বছরের মধ্যে।
আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর যাদের লিভার প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। ইউরোপের বাকি চার দেশে এখন পর্যন্ত কতজন শিশু আক্রান্ত হয়েছে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
সাধারণত জন্ডিস বা হেপাটাইটিস হলে রোগীর গায়ে জ্বর থাকলেও নতুন এই হেপাটাইটিসে আক্রান্ত শিশুদের এই উপসর্গ নেই বরং জন্ডিস, ডায়রিয়া, বমি ও লিভারে প্রদাহজনিত কারণে পেটব্যথার উপসর্গ দেখা গেছে আক্রান্তদের মধ্যে।
উল্লিখিত ছয়টি দেশে এই নতুন হেপাটাইটিসে আক্রান্ত শিশুদের সকলের বয়স ১০ বছরের নিচে। এর ঊর্ধ্বে কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ব্যক্তি এই জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়নি।
উল্লেখ্য,বিশ্বে এ পর্যন্ত ৫টি হেপাটাইটিস ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে- এ, বি, সি, ডি ও ই। কিন্তু এসব ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের কারো ক্ষেত্রেই এ পর্যন্ত লিভারে প্রদাহের মতো উপসর্গ দেখা যায়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রোগ প্রতিরোধ সংস্থা ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (ইসিডিসি) কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘আক্রান্ত শিশুদের করোনা টিকা নেওয়া কিংবা খাদ্য, পানীয় অথবা ব্যক্তিগত কোনো অভ্যাসের কারণে এই রোগ হয়েছে- এমন প্রমাণও আমরা পাইনি। ‘ঠিক কী কারণে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে, তা এখনও আমাদের কাছে অস্পষ্ট।’
ইসিডিসি সহ যেসব দেশে এই হেপাটাইটিস দেখা দিয়েছে, তারাও পৃথকভাবে বিষয়টির অনুসন্ধান করছে।’