মাগুরা প্রতিনিধি:
মোঃ আরিফুজ্জামান টোকন (৪৫), পিতা- মোঃ রফিউদ্দিন সরদার, গ্রাম- বিল আকছি পূর্বপাড়া, ডাকঘর- আকছি, উপজেলা ও জেলা মাগুরা। পেশায় একজন কৃষক। টোকনের প্রথম স্ত্রী মানষিক রোগী হয়ে তার বাবার বাড়ীতে অবস্থান করলেও তাদের একমাত্র ৫ বছরের কন্যা টোকনের কাছেই বসবাস করছে।
এভাবে চলতে চলতে একসময় পরিচয় হয় মোছাঃ রহিমা (৩৪) এর সাথে। রহিমার পরিচয়, পিতা- মৃত আলিমদ্দিন শেখ, গ্রাম পাবহাটি পশ্চিমপাড়া, ডাকঘর, উপজেলা য জেলা – ঝিনাইদহ।
আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। তাঁরা একে অপরের আরো কাছাকাছি চলে আসে। এক পর্যায়ে তারা উভয়ে মানসিক ভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
বিয়ের পূর্বে রহিমা বেগম টোকন কে জানান তাদের এই সম্পর্কের পূর্বে তার আরও চারটি বিয়ে হয়েছে কিন্তু এর কোনটিই স্থায়ী হয়নি। প্রথম স্বামীর পক্ষের একটি ছেলে তার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে।
তাদের ছেলের নাম নাম রাজু। তারা দুজনই বর্তমানে বিবাহিত। পরবর্তী দুই স্বামীর ঘরে তার কোন সন্তান নেই। ৪ র্থ স্বামীর ঘরে একটি ও ছেলে একটি মেয়ে আছে।
তাদের নাম রাইহাদ (১৫) ও এ্যানি (১১) । সুতরাং তাকে বিয়ে করতে হলে এই দুটি বাচ্চা সহ বিয়ে করতে হবে। টোকন, রহিমার সকল শর্ত মেনে নিয়ে মাগুরা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে গিয়ে গত ৫ই আগস্ট ২০২১ তারিখে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিয়ের ৭ দিন পরে অর্থাৎ ১২ই আগস্ট, ২০২১ তারিখে রহিমা তার দু সন্তান ও টোকনের গচ্ছিত ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা নিয়ে টোকনের ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
টোকন নতুন ঘর তৈরী করার জন্য এই টাকা জমিয়েছিল। টোকন এখনো জানে না রহিমা কোথায় আছে, কিভাবে আছে। কোথায় গিয়েছে তিনি জানেন না।
টোকন রহিমার মোবাইলে অনেকবার কল দিয়ে কখা বলার চেষ্টা করেছে কিন্ত রহিমা টোকনের নাম্বার বলক করে রেখেছে। সুতারাং টোকনের আর রহিমার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এর পরও টোকন এখনো তাঁর স্ত্রী কে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। টোকন এখনো তার স্ত্রীকে ক্ষমা করে দিয়ে নিজ ঘরে ফেরত নেবার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে।
টোকন প্রভাতী সংবাদের প্রতিবেদকের মাধ্যমে তার স্ত্রীকে খুজে দেয়ার জন্য প্রশাসনের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।