প্রভাতি সংবাদ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ও কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিল প্রাঙ্গণে ফের আন্দোলন করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েকশ কট্টরপন্থি সমর্থক। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে তারা সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেন। রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে হামলা ও দাঙ্গা সৃষ্টিতে অভিযুক্ত ট্রাম্প সমর্থকদের সমর্থনে আন্দোলনটি করেন তারা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতি কট্টরপন্থি এসব সমর্থকের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে ক্যাপিটল ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।
বিবিসি নিউজ বলছে, বিক্ষোভে কয়েকশ ট্রাম্প সমর্থক উপস্থিত থাকলেও সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে উপস্থিত থাকা পুলিশ ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে থাকা সাংবাদিকের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।
বিক্ষোভ কর্মসূচির আগে পুলিশ জানিয়েছিল, কর্মসূচি উপলক্ষে তারা ‘সহিংসতার হুমকি’ চিহ্নিত করেছে এবং সঙ্গত কারণে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ৭০০ জনকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। যদিও বিক্ষোভের সময় সেখানে মাত্র ১০০ থেকে ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাপিটলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ জানায়, যেখানে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে চারশ থেকে সাড়ে চারশ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। যদিও এসব ব্যক্তির মধ্যে বিপুল সংখ্যক মিডিয়াকর্মীও উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার স্থানীয় সময় বিকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ওই বিক্ষোভ সমাবেশের নাম দেওয়া হয় ‘জাস্টিস ফর জানুয়ারি ৬’। যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই কর্মসূচিকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন ওয়াশিংটনের পুলিশ কর্মকর্তারা।
‘লুক অ্যাহেড আমেরিকা’ নামে একটি সংগঠন এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল। এর প্রধান ম্যাট ব্রাইনার্ড ছিলেন ২০১৬ সালের ট্রাম্পের নির্বাচনি ক্যাম্পেইনের তথ্য ও কৌশলগত বিভাগের ডিরেক্টর।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ও কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল ভবনে হামলা ও তান্ডব চালান ট্রাম্পের উগ্রবাদী সমর্থকরা। ভয়াবহ এ ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে হামলা ও সহিংসতায় অভিযুক্ত ছয় শতাধিক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত এসব আসামির মধ্যে অনেকের নামে আদালতে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মূলত এসব অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সমর্থন জানানোর জন্যই ট্রাম্পের সমর্থকরা ‘জাস্টিস ফর জানুয়ারি ৬’ নামে ওই সমাবেশের ডাক দেন।
কিন্তু এখানে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা ছিল একেবারেই হাতে গোনা। কার্যত পুলিশ ও মিডিয়াকর্মীদের সংখ্যা ছিল বিক্ষোভকারীদের চেয়েও অনেক বেশি।