প্রভাতি সংবাদ ডেস্ক:
ইউক্রেনে রাশিয়ান হামলার ১২ দিন অতিক্রম হয়েছে। হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু নিরীহ মানুষ। আগ্রাসী নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সমালোচিত হলেও, তাতে বিন্দুমাত্র পেছনে সরে আসতে রাজি হননি তিনি।
য়ুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে বেলারুশে তৃতীয় দফা বৈঠকও শেষ করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া। এর মধ্যেই য়ুদ্ধ ও সেনা অভিয়ান বন্ধ করতে রাজি হয়েছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন রাশিয়ার দেওয়া চারটি শর্ত মেনে নিলে তবেই সেনা অভিয়ান থামতে পারে বলে জানিয়েছে মস্কো। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র।
শর্তগুলো:
১. ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাস্তবে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে চায় রাশিয়া এবং তারা সেটি বন্ধ করবেও। তবে ইউক্রেনকেও সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং সামরিক অভিডান বন্ধের পর কোনোভাবেই য়ুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া য়াবে না।
২. ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেনের উচিত সংবিধান সংশোধন করা এবং সেই সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী ইউক্রেনে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হবে।
৩. আরও একটি তাৎপর্য়পূর্ণ শর্ত রেখেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র। তিনি জানিয়েছেন, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ান ভূখন্ডের অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৪. য়ুদ্ধ ঘোষণার আগেই ইউক্রেনের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমিলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই দু’টি দেশকে স্বাধীন হিসেবে ইউক্রেন স্বীকৃতি দিলে যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে এবং সামরিক অভিয়ান থেমে য়াবে।
তবে এসব বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে। এই আক্রমণের ফলে দ্বিতীয় বিশ্বয়ুদ্ধের পর এই প্রথম ইউরোপজুড়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সব মহলে রাশিয়ার আক্রমণ সমোলোচিত হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।