প্রভাতি সংবাদ:
সুন্দরবনে দেখা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব। শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। সকাল পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে এরই মধ্যেই সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের নদীগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে পানি।
গত দুটি ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও ইয়াসের জেরে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সুন্দরবনের নদীবক্ষে চলা লঞ্চ ও ভুটভুটিগুলোও।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস পেয়ে লঞ্চ নিরাপদ জায়গায় এরই মধ্যেই নোঙর করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের নদী থেকে উঠে আসতে বলা হয়েছে পাশাপাশি আগামী দু’দিন যেন তারা নদী বা সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘জওয়াদ’ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি বাঁক নিয়ে রোববার উড়িষ্যা উপকূলের পুরিতে পৌঁছাতে পারে এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যেতে পারে৷ এরপর এটি আরও দুর্বল হয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগোতে পারে।
সাগরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’র গতিপথ কিছুটা আঁকাবাঁকা। এটি একেবারে উপকূলের কাছে এসে বাঁক নেবে। তবে এটি আর শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
জাওয়াদ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।