ইসমাইল হোসেন বাবু (ভেড়ামারা থেকে) :
উল্লাস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভেড়ামারা বাহাদুরপুর বালিকা বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রীদেরকে সন্মাননা স্বারক ও বৃত্তির টাকা প্রদান অনুষ্ঠানে উল্লাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও এস এস সি বিডি অষ্টআশি’র তারকা বন্ধু ফারজানা রহমান এ্যানি বলেন, পৃথিবীতে একটা নির্দিষ্ট সময় আসে মানুষের জন্য।
আমার মনে হয় সেই দায়িত্বটা এসে গেছে। আমার নিজের কোন দায়িত্ব নেই তবে এখন আমি জনকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। তিনি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করাই আমার উদ্দেশ্য। আমি মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।
আমার সন্তান উল্লাস সড়ক দূর্ঘনায় মারা যাওয়ার পরেই আমি উল্লাস ফাউন্ডেশনের নাম করণ সহ সবেমাত্র স্বল্প পরিসরে সমাজের সেবামুলক কাজ শুরু করেছি এবং বিশেষ করে প্রথমে নারীদের কে প্রাধ্যন্য আমি বেশি দিচ্ছি। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর বালিকা বিদ্যালয় টি আমার দাদা মফের আলী সর্দার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত।
সেই সুবাদেই প্রথমেই আমি আমার দাদার স্কুলটি মানে বাহাদুরপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কে বেছে নিয়েছি। এই বিদ্যালয়ের এসএসসি পড়ুয়া ছাত্রী সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত মেয়েকে এবং দরিদ্র মেধাবী তালিকায় দুইজন ছাত্রীকে বৃত্তির টাকা প্রদান করছি।
আগামীতে এমন মহতি কাজ বড় পরিসরে করবো বলে আশ্বাস দিচ্ছি। আমি আপনাদের এই এলাকার মানুষ। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাতা জমিদাতা মফের আলী সরদার উনি আমার দাদা। সেই সুবাদেই আমি প্রতি বছর নিয়মিতভাবে অত্র বিদ্যালেয়ের ছাত্রীদেরকে নানা সুয়োগ সুবিধা প্রদান করবো।
আমি মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে ভালো লাগা অনুভব করি। আমার পূর্বপুরুষের ইতিহাস সমাজকর্ম করার ইতিহাস, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস, মানুষকে বুকে টেনে নেয়ার ইতিহাস। তাদের সেই কাজকে আমি শুধু ধরেই রাখতে চাই না, আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এর বাইরে আমার অন্য কোনো উদ্দেশ্য নাই।
গত ১৩ এপ্রিল বুধবার সকালে উপজেলার বাহাদুরপুর বালিকা বিদ্যালয়ে। উল্লাস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা বাহাদুরপুর বালিকা বিদ্যালয়ের মেধাবী তিন ছাত্রীকে সন্মাননা স্বারক ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সভায় সভাপতিত্ব করেন বাহাদুরপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাঃ জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় গণমানুষের নেতা চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন বলেন, লেখাপড়া করে বড় হতে হবে। যার অভিভাবক যত বেশী সচেতন, তার ছেলে মেয়ে ততটা লেখাপড়া করে ভালো ফলাফল অর্জন করে থাকে।
তাই বড় কিছু হতে হলে কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও সাহস থাকতে হবে । ভালো লেখাপড়া করতে হবে । সব দিকে চতুর হতে হবে । মানসিক ও শারিরীক সুস্থ্য থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। ব্যর্থতা আসলে হতাশ হওয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন, শুধু ভালো ফল নয়। ভালো মানুষ ও হতে হবে। তাই বড় কিছু হতে গেলে লক্ষ্য থাকতে হবে বেশী বেশী করে বই পড়া। খালি তোতাপাখির মত পড়লে হবে না, পড়াগুলো মনে ও রাখতে হবে। তবেই সে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবে। ভালো রেজাল্ট করলে সেই ছাত্রী আগামীতে পাবে উল্লাস ফাউন্ডেশনের সন্মাননা স্বারক ও প্রতিমাসে বৃত্তির টাকা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালাহ উদ্দিন। ভেড়ামারা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রবীন সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন বাবু। এসএসসি ৮৮’র বন্ধুবর আব্দুল্লাহ আল বিল্লাল ওরফে চঞ্চল। মাহাবুবুর রহমান। মাহাতাব হোসেন সুকচাঁদ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজাদ রহমান।
অনুষ্ঠান শেষে বাহাদুরপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি/২১ সালে সর্বোচ্চ নন্বর প্রাপ্ত দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী সোনালী খাতুন, দরিদ্র মেধাবী ছাত্রী আয়েশা খাতুন ও নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী প্রমা খাতুনকে সম্মাননা স্বারক ও বৃত্তির টাকা প্রদান করেন উল্লাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও এস এস সি বিডি অষ্টআশি’র তারকা বন্ধু ফারজানা রহমান এ্যানি ও অতিথি বৃন্দ।