প্রভাতী বার্তাকক্ষঃ
চশমা ছাড়া পত্রিকা পড়তে না পারায় নিজের বিয়ে ভেঙে দিলো কনে। তার দাবি, বরের দৃষ্টিশক্তি কম, চশমা ছাড়া পত্রিকা পড়তে পারেন না।
বিয়ের আসরে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর কনে সাফ জানিয়ে দিলেন বিয়ে করবেন না। এরপর বরসহ বরযাত্রীদের বিদায় করে দেয়া হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের আওরাইয়া এলাকায়। কনে শুধু নিজের বিয়ে ভেঙে দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। বর ও বরের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকে দিয়েছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর প্রদেশের সদর কোতোয়ালির জামালপুর গ্রামের অর্চনার বিয়ে ঠিক হয়েছিল বানসি গ্রামের শিভমের সঙ্গে।
বিয়ের দিন পর্যন্ত বরের পরিবার ছেলের দৃষ্টিশক্তি সম্পর্কে অসচেতন ছিল। তারা ছেলের দৃষ্টিশক্তি কমের বিষয়টি ধর্তব্যের মধ্যেই ফেলেননি।
নির্দিষ্ট সময় যাত্রীসহ করেন বাড়িতে উপস্থিত হন শিভম ও তার পরিবার। কনে অর্চনা ও তার পরিবার তখন প্রথম দেখতে পান, বর চশমা পরে আছেন। এরপর তার দৃষ্টিশক্তির সন্দেহ করেন অর্চনার পরিবার।
দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষার জন্য তাকে একটি পত্রিকা পড়তে দেন অর্চনারা, সেটা পড়তে দেয়া হয় চশমা ছাড়া।
সেই পরীক্ষায় চশমা ছাড়া পত্রিকা পড়তে ব্যর্থ হন শিভম। এরপরই অর্চনার পরিবার জানায়, এই বিয়ে হবে না। অর্চনা শিভমকে বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন।
অর্চনার বাবা অরুণ সিং বলেন, ‘বরের যে দৃষ্টিশক্তি একেবারেই নেই এটা সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। আমার মেয়ে সেটা পরীক্ষা করার পর সিদ্ধান্ত জানায় সে বিয়ে করবে না।’
এরপর কনের পরিবার বরের পরিবারের কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে দেয়া টাকা, মোটরসাইকেল ফেরত চান। সেই সঙ্গে বিয়ে আয়োজনে মেয়ের পরিবারের সব খরচও দাবি করা হয় শিভমের পরিবারের কাছে।
কনের পরিবার এরপর আওরাইয়া থানায় গিয়ে বরের পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর করে। যদিও বরের পরিবারের পক্ষ থেকে কনের পরিবারের দাবিকে অস্বীকার করা হয়েছে।
করেন বাবা জানান, পুলিশ দুই পরিবারকে নিয়ে বসে সমঝোতার চেষ্টা করলেও বরের পরিবার তাতে রাজি হয়নি।