জহিরুল হক বাপি
রেসকোর্স, ৭ মার্চ আমাদের ভূমি ইতিহাস। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর রেস কোর্স/সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কিছু অংশ কেটে নিয়ে শিশু পার্ক বানালো।
অথচ সেই সময় ঢাকাতে শিশু পার্ক বানানোর জায়গার অভাব ছিল না। সেই শুরু।
ইতিহাসের দলিল তৎকালীন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বারবার ক্ষত বিক্ষত, নির্যাতিত হচ্ছে।
মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুর কাজ সেদিন শুরু হলো কিন্তু এখন শেষের পথে। মনে হচ্ছে মেট্রোরেল বা পদ্মা সেতুর চেয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন কঠিন। শিখা চিরন্তন, জাদুঘর, সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ কয় যুগ আগে শুরু হয়েছে তা মনে হয় উদ্যানটারও মনে নাই।
উদ্যানটাকে অপ্রয়োজনে ক্ষতি বিক্ষত করা হচ্ছে। ভিতরে হাঁটার সুন্দর রাস্তা থাকার পরও আবার ওয়াকে তৈরি করে জমির পরিমান, গাছের পরিমান, সৌন্দর্যের পরিমাণ কেবল কমানোই হচ্ছে।
উদ্যানে মেট্রোরেলের স্টেশন হবে । ভালো কথা। এটা জাতীয় স্বার্থেই প্রয়োজন। কিন্তু জায়গা স্বল্পতার পরও উদ্যানে কেন শপিং সেন্টার (বেশ ক’টা দোকান) করতে হবে?!!! অদ্ভুত, গোবাইজ্জা ভাবনা।
মানুষ তাদের জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে। আর আমাদের কতৃপক্ষ কেবল ধ্বংসই করছে।
শপিং সেন্টারের জন্য এর মধ্যে ষাট টি গাছ কাটা হয়েছে। আরও কাটবে। একদিকে ঢাকার জনগনকে বলবে ছাদে, বারান্দায় গাছ লাগান- অক্সিজেনের অভাব আরেক দিকে বলনেওয়ালারা নিজের খেয়াল খুশি মতো গাছ কাটবে?
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থায়ী শপিং সেন্টার কেন করতে হবে? ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ধ্বংসের পুরানো চলমান কৌশল?
অযাচিত, অপ্রয়োজনীয়, সৌন্দর্য ধ্বংসকারী ওয়াক ওয়ে, শপিং সেন্টার বানিয়ে টু পাইস কামানো?
লেখক: সাহিত্যিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা
বি:দ্র: মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত কলামের দায়-দ্বায়িত্ব লেখকের। প্রভাতী সংবাদ কর্তৃপক্ষ কোন দায় বহন করবে না।