শামীম আহমেদ জিতু
“তুমিও টিকটক করো?”
“আপনিও টিকটক বানান ভাইয়া?”
“তুইও?”
বিষয়টা হচ্ছে টিকটক, ইন্সটাগ্রাম, ফেইসবুক, টুইটার, লিংকডইন সবই সবার জন্য। সাধারণত রুচিশীল মানুষের জন্য এই প্লাটফর্মগুলো খুবই উপযুক্ত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ বয়স, আচরণ, অবস্থানের সাথে অসামাঞ্জস্যপূর্ণ কনটেন্ট ক্রিয়েট করাতে জনতার মধ্যে ধারণা হয়েছে এগুলো আসলে অপু, হৃদয় টাইপের মানুষজনদের জায়গা।
ধারণাটা ভুল। আপনি যখন মন্দ কন্টেন্টকে জায়গা দেন, তখনই ভাল কন্টেন্ট বাজার থেকে হারিয়ে যায়। সোহেল তাজের মতো মানুষ যখন দায়িত্ব ছেড়ে দেয়, তখনই পরবর্তী ‘চিড়িয়াগুলো’ তার মতো মানুষের জায়গা নেয়।
অর্থনীতির ছাত্র থাকাকালীন সময় Gresham’s Law পড়েছিলাম। সেখানে সোজা বাংলায় বলা হয় “Bad money drives out good money.” যদিও স্যারের ল’র সাথে সরাসরি সংযোগ নাই, তবুও বলি – ভাল মানুষরা জায়গা ছেড়ে দিলে সেটা খারাপ মানুষরাই নিয়ে নেয়। সব জায়গায় মোটামুটি তাই দেখা যায়। এর আরেকটা উদাহরণ বাংলাদেশের নাটক, সিনেমা, গান, নাচ ইত্যাদি নানা সৃজনশীল মিডিয়া।
ভাল ছাত্ররা বলবে আমরা রাজনীতি করব না। তো তারা রাজনীতি না করলে নুরুর মতো ছাগলরাই রাজনীতি করবে, তারাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ডাকসুর নেতা হবে – এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
সুতরাং ভালোদের বিভিন্ন জায়গায় পদচারণা করা দরকার। এত বিশাল আলাপের কারণ হচ্ছে আমি আমাদের বিড়ালের সাথে একটা ভিডিও আপলোড করেছি গতলাম টিকটকে। তারপর অসংখ্য মানুষ ইনবক্সে বলেছেন –
“তুমিও টিকটক করো?”
“আপনিও টিকটক বানান ভাইয়া?”
“তুইও?”
এখন আমার ভিডিওর মান দেখেন। কন্টেন্ট দেখেন। আমি সমস্ত সোশাল মিডিয়া ফলো করি শুরু থেকে। আমি যাদের কন্টেন্ট দেখি, বা ফলো করি – তারা সর্বজন গ্রহণযোগ্য। আপনি কী দেখেন সেটা আপনার বিষয়।
টিকটক করা বা না করা কোন বিষয় না। বিষয় হচ্ছে কনটেন্টের মান ও বিষয়। ধন্যবাদ। সালাম।
শামীম আহমেদ জিতু
লেখক: সোশ্যাল এন্ড বিহেভিয়ারাল হেলথ সায়েন্টিস্ট, ডক্টরাল রিসার্চার, ইউনিভার্সিটি অফ টরোন্টো