শেখ তানজিম
বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে জানতে পারলাম স্থগিত হওয়া ৩৭১ টি সহ পূর্বে ঘোষিত অন্যান্য উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ শে জুন। করোনা মহামারীর এই সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান কতটা যৌক্তিক?
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বস্তির পর্যায়ে আসেনি এখনো,সচেতন মানুষের উদ্বেগ উৎকন্ঠার শেষ নাই,আগামীতে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতেপারে তা আমারা কেউ জানিনা তবে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের অবস্থা দেখে কিছুটা অনুমান করতে পারি আমরা।
বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই উৎসব,চায়ের দোকানে,হাটে-বাজারে,রেষ্টুরেন্টে সবখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আর কর্মী সমর্থকে কলরব,জাঁকজমক লেগেই থাকে,সন্ধ্যার পর পাড়ার পাড়ায় মিছিল-মিটিং,বৈঠক হয়,যতই নিষেধ করুক এগুলো হবেই,এগুলো দেখেই আমারা বড় হয়েছি।
করোনা পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশ চলছে,এই সময়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের চরম হটকারিতার প্রকাশ,এই সিদ্ধান্তে দেশের জন্য মহা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
অনেকেই বলতে পারে,সব চলছে নির্বাচন করলে কি আর হবে?
তাদের বলবো,মানুষের আয় উপার্জনের জন্য,জীবন জীবিকার জন্য দোকানপাট খোলা,যানবাহন চলা,কাজকর্ম চলা আর নির্বাচন করা এককথা নয়,মনে রাখতে হবে আমারা করোনার সাথে এখনো যুদ্ধ করছি এই যুদ্ধের সময়ে নির্বাচনের মত একটা উৎসব করে জনগণকে সাস্থ্যঝুকির মধ্যে ফেলার ফল অনেক ভয়ংকর হতে পারে।
আমারা কঠোর লকডাউন দিয়েও ঈদের ছুটাছুটি বন্ধ পারিনি এর পরিনতিও মানুষ দেখতে শুরু করেছে,বড়বড় শহর থেকে ছোট শহর গ্রামগঞ্জে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে,অনেকেই পরিক্ষার অভাবে বুঝতেই পারছে না সে করোনায় আক্রান্ত!হয়তো সুস্থ হয়েও যাচ্ছে অনেকে কিন্তু সে যাদের সংক্রামিত করছে তারা সুস্থ নাও হতে পারে,এই কারণে স্বস্তির কোন কারণ নেই আপাতত এখানো সাবধানে থাকতে হবে।
ঘটনা এমন নয় যে,নির্বাচন না হলে করোনা শেষ হয়ে যাবে,আবার নির্বাচনের কারণেই করোনা পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে যাবে,তবে করোনা পরিস্থিতি হাতের বাইরে যদি যায় তার একটা কারণ হবে ২১ শে জুনের নির্বাচন,এই কারণে নির্বাচন না করলে সবার জন্য মঙ্গল হবে,তখন নির্বাচন কমিশন অথবা সরকার কে অন্তত এই কারনে কেউ দোষারোপ করতে পারবে না।