প্রভাতি সংবাদ ডেস্ক:
টেস্টের আগে সচরাচর দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে স্বাগতিকদের প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুলরা দুইবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। ইবাদত, খালেদরা হাত ঘুরিয়েছেন একবার। সব মিলিয়ে দলগত প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ সন্তুষ্ট।
পেসার ইবাদত যেমন বলছিলেন,‘তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শেষ হলো। সবার প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। ব্যাটসম্যানরা সবাই খুব ভালো করেছে। তামিম ভাই দেড়শ করেছেন, শান্ত পঞ্চাশ করেছে। ব্যাটিং অর্ডারে সবাই ভালো করেছে।’ বোলিং নিয়ে আলাদা করে ডানহাতি পেসার বলেছেন, ‘বোলিংয়ে আমরা ভালো করেছি, শুরুটা ভালো হয়েছে। মোস্তাফিজ যোগ দিয়ে আজকে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট পেয়েছে, সব মিলিয়ে তিন উইকেট নিয়েছে। প্রস্তুতির দিক থেকে তিন দিনের ম্যাচটি আমরা উপভোগ করেছি।’
অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি তামিমের দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস। প্রথম ইনিংসে অন্য ব্যাটসম্যানরা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে, তখন তামিম ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন। দারুণ ফর্মের ধারাবাহিকতায় ১৬২ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়া শান্তর ফিফটিও ছিল বলার মতো।
তবে ভাবাচ্ছে মুমিনুল ও জয়ের পারফরম্যান্স। দুজন প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি। মুমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসেও হতাশ করেছেন ৪ রানে রান আউট হয়ে। জয় দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯ রান করলেও ৫৩ বল খেলে সময় কাটিয়েছেন দারুণভাবে।
মেহেদী হাসান মিরাজকে বাজিয়ে দেখতে দ্বিতীয় ইনিংসে তিন নম্বরে পাঠানো হয়েছিল। ৫১ বল খেলে ৩২ রান করে আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মোস্তাফিজের জাদুকরী প্রত্যাবর্তন। ২০২১ সালে সবশেষ টেস্ট খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সাদা পোশাকে ফেরার ম্যাচে আবারও ক্যারিবিয়ানদের পাচ্ছেন তিনি। এর আগে প্রস্তুতি সেরেছেন চমৎকার বোলিংয়ে। নিজের করা প্রথম ওভারে জোড়া সাফল্যের পর পঞ্চম ওভারে আরেকটি উইকেট নেন। ৬ ওভারে ১ মেডেনে ৩৪ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার।
এছাড়া আগের দিন ইবাদত ৩ ও রাজার ১ উইকেটে পেসাররাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা মূল মঞ্চে পারফর্ম করার জন্য প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার দুই দলের প্রথম টেস্ট শুরু হবে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে।
২০১৮ সালে দেশটিতে বাংলাদেশ দুই টেস্টেই বাজেভাবে হেরেছিল। এবার সাকিবের নেতৃত্বে নতুন কিছু করে দেখাতে পারে কি না লাল-সবুজের দল, সেটাই দেখার।