যশোর ব্যুরোঃ
যশোর ঝিকরগাছায় নয়ন হোসেন (২৫) নামের এক বাকপ্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের টাওরা গ্রামের সাইদুর হোসেনের ছেলে। শনিবার সন্ধ্যায়, যশোর সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ঝিকরগাছা পানিসারা ইউনিয়নের টাওরা গ্রামে বাকপ্রতিবন্ধি (বোবা) নয়ন হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার গলার নিচে দা দিয়ে কোপ দেয়া হয়।
জানা গেছে, নীলকন্ঠনগর গ্রামের সরোয়ার মেম্বর(৫৫), তার ছেলে জাহিদ হোসেন (২৫), ছোট ছেলে অমিত হোসেন(১৮) সহ ৮/১০ জন পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
এই ঘটনায় টাওরা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে জহুরুল ইসলাম নামের একজন যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে৷ তার ডান পায়ের হাঁটুর নিয়ে কোপ দেয়া হয়েছে। ঝিকরগাছা হাসপাতালে ভর্তি আছে তিনজন, তারা হলেন, মামুন (২০) পিতা আকবর,দেলু (৬০) স্বামী মৃত তায়জেল , আশা (২০) পিং মৃত হামিদ।
আহত জহুরুল জানান, ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকালে। টাওরা উত্তরপাড়া স্কুলমাঠে বাচ্চাদের ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে নীলকন্ঠনগর গ্রামের সরোয়ার মেম্বরের ছেলের সাথে সামান্য বাকবিতন্ডা হয়। এইঘটনার জেরে সরোয়ার মেম্বর ও তার ছেলেরা আজ পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
তিনি জানান, গতকাল বিকালে সামান্য গন্ডগোলের বিষয়টি সেখানেই মিমাংসা করা হয়। শামীম নামের একজন প্রাথমিকভাবে মিটমাট করে দেয়। পরবর্তীতে বলা হয় আজ(শনিবার) রাতে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে মিমাংসা করে দেয়া হবে।
মিমাংসার আগেই ওই গ্রামে গেলে আশা নামের একজনকে প্রচন্ড মারধোর করা হয়। কারণ জানতে চাইলে আরো অনেককে মারা হয়। পরবর্তীতে সরোয়ার মেম্বর ও তার ছেলেরা ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে নয়ন মারা যায়। এই ঘটনায় আরো চারজন আহত হয়।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ফুটবল খেলার জেরে মারামারি হয়েছে। নয়ন নামের একজন যশর সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। এই ঘটনায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তপূর্বক গ্রেফতার অভিযান চলছে।