মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আটক বায়াত হোসেন (৫০) উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের লোহা-চালা গ্রামের বাহের আলীর ছেলে।
আটকের তথ্যটি হরিরামপুর থানা ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় শনিবার(১০ জুলাই) রাতে থানায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হরিরামপুর থানা ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ৭ জুলাই সকাল ৫ টার দিকে কিশোরীর মা বাবা প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দাদরুখির বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে ক্ষেতে মরিচ তুলতে যায়। অভিযুক্ত বায়াত ওই দিন সকালে আনুমানিক ৭ টার দিকে বাড়ির চৌচালা ঘরে প্রবেশ করে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় প্রতিবন্ধীর ২ চাচাতো ভাই এ ঘটনা দেখেছে বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।
প্রতিবন্ধী কিশোরী মা বলেন, ‘আমরা দাদরুখির বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে ক্ষেতে মরিচ তুলতে যায়। অভিযুক্ত বায়াত ওই দিন সকালে আনুমানিক ৭ টার দিকে বাড়ির চৌচালা ঘরে প্রবেশ করে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।’
প্রতিবন্ধীর ২ চাচাতো ভাই এ ঘটনা দেখে মেয়ে’কে উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন প্রতিবন্ধী কিশোরী মা।
হরিরামপুরে গাঁজাসহ দুইজন আটক
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে গাঁজাসহ ২ জনকে অবরুদ্ধ করে এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসী রাকিব(৩৫) ও মাসুদ (৪২) নামের এ দুইজনকে পুলিশে দিয়েছে।
শনিবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ডেগিরচর এলাকায় ঐ ২ জনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
এ ঘটনায় আটককৃত রাকিব (৩৫) ডেগিরচর এলাকার মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে এবং মাসুদ (৪২) একই ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকার জামাই বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯ টার দিকে ডেগিরচর এলাকা থেকে রাকিব এবং মাসুদকে এলাকাবাসী আটক করে প্রশাসনকে জানানো হয়। তারপর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম ও হরিরামপুর থানা ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম গোপীনাথপুর নয়া বাজারে আসেন। এসময় এলাকাবাসী ২ জনকে প্রশাসনের হাতে তুলে দেন।
গোপীনাথপুর ইউপি সদস্য মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘রাকিব ও মাসুদকে এলাকাবাসী গাঁজাসহ আটক করলে আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাই। এসময় এলাকাবাসী ২ জনকে পুলিশে দিয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার রাত ১ টার দিকে গাঁজাসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে ৬ মাসের জেল এবং ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’