যশোর প্রতিনিধি:
শার্শার গোগা ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ এর ভাই সাত্তারকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর যখম করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবুর রহমান এর অনুসারিরা গত মঙ্গলবার রাত ১০ টার সময় সাত্তার এর বাড়িতে প্রবেশ করে চাঁদা দাবি করে । এই চাঁদা দিতে না পারায় তাকে লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করে বলে ৫ জন অভিযুক্ত এবং ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা করে হত্যা চেষ্টার একটি অভিযোগ দায়ের একটি হয়েছে শার্শা থানায়। আহত সাত্তার মিয়া শার্শা নাভারণ বুরুজবাগান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আসামিরা হলেন শার্শা থানার হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে জুম্মান আলী (৩৫) লুৎফর রহমান এর ছেলে রানা মিয়া (৩৫) মোঃ রানার ছেলে আইজুল মিয়া (২৫) নওশের আলীর ছেলে ফারুক হোসেন, মুছা করিম এর চেছে আব্দুল মজিদ (৩৬)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন এর নামও রয়েছে।
হরিষচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুর সাত্তারের স্ত্রীর থানার অভিযোগ পত্রে দেখা গেছে তার বাড়িতে চাঁদা চাইতে আসে উল্লেখিত আসামিগন। এসময় চাঁদা না পেয়ে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। কেন টাকা দিতে হবে এবং গালাগালি কেন করা হচ্ছে জানতে চাইলে আসামিরা বেধড়ক মারিপিট করে সাত্তারকে। আমার স্বামীকে তাদের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে আমার মেয়ে শ্যামলী ও আমাকেও তারা মারধর করে। এবং কাপড় টানা হ্যাচড়া করে শ্লীলতা হানি ঘটায়। আমাদের হাক ডাকে এলাকার জহুরা ও রিজিয়্ াএগিয়ে আসলে তাদের উপস্থিতিতে আমাদের বাড়ি আসবাব পত্র ভাংচুর করে। এবং নগদ ১০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয় জানতে চেয়ে বার বার গোগা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তবিবার রহমানকে কয়েকবার ফোন দিলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম বলেন শার্শার গোগায় এরকম একটি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা কয়েকদফায় ঘটেছে ওই ইউনিয়নে।