শফিউর মুক্তাদির সোহান :
সম্প্রতি ১০ই জুন, ২০২১ রোজ বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি’র পক্ষ থেকে “ অনলাইন পরীক্ষা “ বিষয়টিকে সামনে রেখে সকল অনুষদের ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি মতামত সভার আয়োজন করা হয় ।
সেখানে তাদের মতামত অনুযায়ী , শুরুর দিকে শিক্ষার্থীরা অনলাইন পরীক্ষায় অনীহা প্রকাশ করলেও , বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং দীর্ঘ ১ বছরের ও অধিক সময় পার করার পর নিজেদের সেশন জট ও বিভিন্ন অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এখন অনলাইন পরীক্ষায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে । এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তাদের কিছু মতামত তুলে ধরেছেন ।
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মেহজাবিন মেধা বলেন, “ অনলাইন পরীক্ষা হলে এটা নিয়ে আমাদের সমস্যা নেই, বরং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটি একটি উত্তম সিদ্ধান্ত হবে । কিন্তু যেহেতু আমাদের ক্লাসগুলো হয়েছে অনলাইন ভিত্তিক , তাই প্রতিটি বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাথায় রেখে যদি সিলেবাস কিছুটা হ্রাস করা যায় তাহলে ভালো হয় । আর সকল শিক্ষার্থী যে শহর কেন্দ্রিক বাস করে এমন টা না , তাই তাদের সমস্যাগুলো যাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিবেচনায় রাখেন “।
এনিম্যাল হাজবেন্ড্রী বিভাগের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলেন , “ অনলাইন পরীক্ষায় শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত না করা গেলে , অর্থাৎ যারা বিভিন্ন কারণে অংশগ্রহন করতে সক্ষম হবে না ,তাদের জন্য যাতে পরবর্তীতে সুযোগ দেওয়া হয় । তিনি আরও বলেন , বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে বিস্তারিত বিষয় নীতিমালা আকারে প্রকাশ করা এবং উক্ত নীতিমালায় অনলাইন পরীক্ষার নম্বর বণ্টন নিয়েও যাতে বিষদ আলোচনা অন্তর্ভুক্ত থাকে “ ।
ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন এর ছাত্র প্রতিনিধি রুহুল আমিন বলেন , “ অনলাইনে যদি মিডটার্ম পরীক্ষা নেওয়া হয় , তাহলে সেটি এসাইনমেন্ট পদ্ধতিতে নিলে ভালো হবে । পরবর্তীতে সেমিস্টার ফাইনাল নিলে সেটা ভাইভা এবং মিডটার্ম এর ফলাফল এর সমন্বয়ে নিলে শিক্ষার্থীদের সুবিধা হবে । এক্ষেত্রে ভাইভা পরীক্ষার নম্বর বণ্টন হ্রাস রাখলেই ভালো বলে আমি মনে করি “ ।
মাৎস্য অনুষদের ছাত্র প্রতিনিধি আল আজিম বলেন, ” অনেকের নেটে সমস্যা ভাইভাতে ডিসকানেকটেড হলে তাকে পরবর্তীতে পরীক্ষা দেওয়ার সু্যোগ দিতে হবে এবং সিলেবাসকে সংক্ষিপ্ত করে অনলাইন পরীক্ষার জন্য উপযোগী করে তুলতে হবে”।
কৃষিবিজ্ঞান অনুষদের ৩য় সেমিস্টারের দিপ্ত বলেন, “ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পরীক্ষা চায় না, তবে হলে ১মাস রিভিউ ক্লাস নিয়ে তারপর যেন হয় “ ।
সবমিলিয়ে শেষ মেশ পরীক্ষা যখন অনলাইনে হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে । যেহুতু বিভিন্ন জেলায় জেলায় করোনার হানায় নতুন করে দেয়া হচ্ছে লকডাউন, তাই নিজেদের কল্যাণের কথা ভেবে অনলাইন পরীক্ষার বিকল্প নেই । তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি নতুন অভিজ্ঞতা, তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত সর্বদিক সুবিধা বিবেচনা করেই একটা সিদ্ধান্তে আসা এবং সে অনুযায়ী নীতিমালা প্রনয়ণ করা ।