প্রভাতী বার্তাকক্ষ;
মালদহের বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে হান চুনওয়েই নামে এক চীনা নাগরিককে আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
বিএসএফ ধারণা করছে যে, তিনি সাইবার হানার অভিসন্ধি নিয়ে ভারতে ঢুকেছেন। সম্ভবত হান চুনওয়েই নিজেই একজন সাইবার বিশেষজ্ঞ।
ওই ব্যক্তির শরীরে চিপ লুকোনো থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই তার সিটি স্ক্যান করার কথা ভাবছে পুলিশ।
এর মধ্যে মালদহের জেলা পুলিশ মিলিক সুলতানপুরের সীমান্তে হানকে নিয়ে গিয়ে তার অনুপ্রবেশের ঘটনা পুনরায় বোঝার চেষ্টা করে। পুলিশি সূত্রের বক্তব্য, সেই পুনর্নির্মাণ পর্ব থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়, ইচ্ছাকৃত ভাবে তার সীমান্ত পেরোনোর সম্ভাবনাই বেশি।
হানের অ্যাপলের ল্যাপটপ ও একটি আইফোনের লক খোলা যায়নি কারণ সেগুলির পাসওয়ার্ড মান্দারিন ভাষায় করা আছে। হান সহযোগিতা করছে না। তাই পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে কলকাতা থেকে বিশেষ সাইবার বিশেষজ্ঞকে জেলায় আনা হচ্ছে বলে পুলিশি সূত্রে খবর। পুলিশ জানাচ্ছে, হানের অন্য দু’টি ফোন থেকে বেশ কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের হদিস মিলেছে।
সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগও হানকে জেরা করতে উদ্গ্রীব। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের (এটিএস) একটি দল হানকে হেফাজতে পেতে সোমবারেই উত্তরপ্রদেশের আদালতে আবেদন করেছে।
এটিএসের দাবি, হানের বিরুদ্ধে সাইবার ও আর্থিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। সেই মামলায় হানের ব্যবসায়ী বন্ধু সান জিয়াং এবং আরও ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হান ও তার সঙ্গী অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে ভারতীয় সিম কার্ড চিনে পাচার করত বলে অভিযোগ।
সেই সব সিম কার্ড কাজে লাগিয়েই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হত বলে এটিএস ও বিএসএফ সূত্রের খবর। বিএসএফের অভিযোগ, ভারত থেকে প্রচুর ডেটাবেস চিনে পাচার করেছে হান।
জানা গিয়েছে, হান চীনের জুন জেই গং চেং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির স্নাতক। ওই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে চীনের সেনাবাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, হানের কাছ থেকে টাকা ট্রান্সফারের পাঁচটি যন্ত্র উদ্ধার হয়েছে, পাওয়া গিয়েছে ‘সিম বক্স’ নামে বিশেষ যন্ত্রও। সেই যন্ত্রের সাহায্যে টেলিফোনিক কলকে ডেটা কলে রূপান্তরিত করা যায়।