এস এ সিয়াম, চৌগাছা:
যশোরের চৌগাছা উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস কি সরকারের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের বাইরে ? যদি তা নাহয়, তাহলে কেনো উপজেলা নৈতিকতা কমিটির সদস্য হয়েও অফিসের সামনে শুদ্ধাচার কৌশলের যন্ত্র বা এনআইএস টুলস ব্যবহার করেননা উপজেলা প্রানী সম্পাদ কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র গোস্বামী ?
এমনই একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে রবিবার উপজেলার সমস্ত সরকারি অফিস ঘুরেদেখে জানা যায় যে, শুধু এই একটি অফিস ছাড়া শুদ্ধাচার কৌশল প্রয়োগে দৃশ্যমানভাবে এগিয়ে আছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা।
শুদ্ধাচার যার মানে বিশুদ্ধতায়পূর্ণ। বাংলায় শুদ্ধাচার বলতে সাধারনভাবে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণ ও উৎকর্ষকে বোঝায়। ব্যক্তি পর্যায়ে এর অর্থ হলো কর্তব্য নিষ্ঠা ও সততা, তথা চরিত্র নিষ্ঠা। আর জনগণের সেবাদানই যাদের কর্তব্যকর্ম, তাদের সৎ মানুষ হিসেবে দায়িত্বশীলতার নিদর্শন রাখতেই সরকার এই শুদ্ধাচার বাস্তবায়নে উদ্যেগ গ্রহন করেছে।
ইতিমধ্যে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে সারাদেশে ৮টি উপজেলাকে পাইলট প্রকল্পের অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। ২০১৯ সালে শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন প্রকল্পের ফেস-২ তে যশোরের চৌগাছা উপজেলাকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। সেবছর ডিসেম্বর মাসে উপজেলার ডিভাইন সেন্টারে একদিনের একটি কর্মশালায় শুদ্ধাচার বাস্তবায়নের কৌশল সম্বন্ধে ব্যাপক আলোচনা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে উপজেলা নৈতিকতা কমিটি গঠন করা হয়। তারপর থেকে অদ্যবধি উপজেলাতে শুদ্ধচার কৌশলের উপর কয়েকটি কর্মশালা এবং সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যেকারনে ইতিমধ্যে উপজেলার প্রায় সবকটি সরকারি অফিসের সামনে এনআইএস টুলস দৃশ্যমান রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সিটিজেন চার্টার, হেল্প ডেস্ক, এবং আমি ও আমার অফিস দূর্নীতি মুক্ত শ্লোগান উল্লেখযোগ্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উঠতেই সিড়ির পাশেই রয়েছে হেল্প ডেস্ক । তাদের কার্যালয়ের সামনেই দেয়ালে ঝোলানো সিটিজেন চার্টার দেখে জনগন সহজেই বুঝতে পারবেন এই অফিসে তিনি কি কি সাহায্য পাবেন। এছাড়া সহকারি কমিশনার (ভূমি), উপজেলা কৃষি অফিস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, প্রকৌশলি, মৎস্য, আনসার ভিডিপি, সমবায়, সমাজসেবা, পল্লী ভবন, যুব অধিদপ্তর, হিসাবরক্ষন, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, সাব রেজিস্ট্রি অফিসসহ প্রায় সকল অফিসের সামনেই সিটিজেন চার্টারসহ এনআইএস টুলস বা জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের যন্ত্রগুলো দৃশ্যমান।
বিশেষ করে সহকারি কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে স্টীলের সাইন বোর্ড আকারে এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সম্বন্ধে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক বানী এখনো জ্বলজ্বল করছে।
তবে এতো কিছুর পরেও উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসের সামনে সেই শুদ্ধাচারের কিছুই মিলল না। শুদ্ধাচার যন্ত্র বা এনআইএস টুলস আপনার অফিসের সামনে নেই কেনো জানতে চাইলে উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র গোস্বামী বলেন, আমার অফিসের ভিতরে আছে। আমি আপনার অফিসে গিয়েছিলাম বলতেই তিনি বলেন ও, ওসব আমার অফিসে নাই। কেনো নেই আপনিও তো উপজেলা নৈতিকতা কমিটির সদস্য প্রশ্নের পরপরই তিনি বলেন না মানে এনআইএস টুলস (সিটিজেন চার্টার) বানাতে দিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উনার সাথে কথা বলবো। তবে সিটিজেন চার্টার নেই কেনো বুঝলাম না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।