যশোর ব্যুরো
যশোরে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। একদিনে সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ও করোনা উপসর্গে। নতুন করে আরো ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন।
উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে লকডাউন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে লকডাউন কার্যকরভাবে মানছে না সাধারণ মানুষ যেকারণে শনাক্ত মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে প্রশাসন বলছে লকডাউন কার্যকর করতে আরো কঠোরতা আরোপ করা হবে। সেইসাথে জনগণকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ তাদের।
স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় ৫২৮জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৩জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮ শতাংশ। গতকার মঙ্গলবার মারা গেছেন ১০ জন। এদের মধ্যে ৬জন করোনা রোগী এবং অপর ৪জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৩৭ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে একাধিক সাংবাদিক ও যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ভর্তি আছেন ৮৯ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছেন ৬৫ জন।
শয্যা খালি না থাকায় অন্তত ৩০ জনকে হাসপাতালের মেঝেতে রাখা হয়েছে। এখন হাসপাতালের মেঝেতেও জায়গা নেই।
যশোর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ বলেন, ‘যশোরে করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী। কঠোর লকডাউন ছাড়া এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। হাসপাতালে করোনা রোগীদের জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। চাপ কমানোর জন্য মঙ্গলবার থেকে বেসরকারি জনতা হাসপাতালে ভারতফেরত রোগীদের রাখা হচ্ছে।’
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে লকডাউন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে লকডাউন কার্যকরভাবে মানছে না সাধারণ মানুষ যেকারণে শনাক্ত মৃত্যু সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।