নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মগবাজারে রাখিনীড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় বৈদ্যুতিক লাইনে কোন সমস্যা পাওয়া যায়নি। এমনটাই জানিয়েছে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি)।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সংস্থাটির কর্মকর্তারা দাবি করছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটেও এই ঘটনা ঘটেনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিল্ডিংটির আশেপাশের সব বৈদ্যুতিক তার, একটু দূরে থাকা ট্রান্সফরমার সবই ভালো অবস্থাতেই আছে। তবে বিল্ডিংয়ের ভেতরে এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়ায় সেখানে কোনও ধরনের বৈদ্যুতিক ত্রুটি হয়েছিল কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, মগবাজারের যে ধরনের বিস্ফোরণ ঘটেছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এমন হতে পারে না। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে দেখা গেছে, আমাদের বিদ্যুতের তারগুলো সব ভালো অবস্থাতেই আছে। ডিপিডিসির নর্থ জোনের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আশরাফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে। আজ সোমবার (২৮ জুন) বিকালে মধ্যে তার টিম প্রতিবেদন জমা দেবে।
প্রকৌশলী আলী আশরাফ বলেন, আমরা বিস্ফোরণের পরপরই স্পটে যাই। বিল্ডিং এর বাইরের সব বৈদ্যুতিক তার, অনেক দূরে থাকা ট্রান্সফরমার সব ঠিক আছে। এখন বাড়ির ভেতরটা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। আজ দুপুরের আগে সিটি করপোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিসের জায়গাটি পরিষ্কার করার কথা রয়েছে। এরপর আমরা আবার ভেতরটি পরিদর্শন করে বিকালের মধ্যে প্রতিবেদন দেবো।
এসি থেকে এই ধরনের বিস্ফোরণ হতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জায়গাটি পরিষ্কার করার পর আমরা খুটিয়ে দেখবো। তবে প্রাথমিকভাবে বলা যায়, এসি বিস্ফোরণের কারণে এত বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
প্রসঙ্গত, রবিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে একটি তিনতলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শতাধিক আহত ও ৭ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থলে অসংখ্য যানবাহন ও ভবন এই বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭৯ আউটার সার্কুলার রোডের ‘রাখিনীড়’ নামের ওই ভবনের নিচতলায় ছিল গ্র্যান্ড কনফেকশনারি, বেঙ্গলমিট ও শর্মা হাউজের দোকান। দোতালায় সিঙ্গারের শোরুম ও তিনতলায় রয়েছে অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘অপরাজেয় বাংলা’ এর কার্যালয়।