মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরা জেলার, সদর উপজেলার নড়িহাটি গ্রামের তারিকুল ইসলাম (১৬) কে পার্শবর্তী কাশিনাথপুর গ্রামের স্বাধীন, পারভেজ ও রাব্বী এর দ্বারা বেদম প্রহার করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
আহত তরিকুল ইসলাম এর ভাষ্যমতে জানা যায় সে তার নানাবাড়িতে থাকে এবং সে মাগুরা কারিগরি স্কুলের ১০ ম শ্রেনীর ছাত্র। তার বাবার নাম তোতা মিয়া (৫০) সামান্য একজন মুদি দোকানদার। অভাবী পরিবার হওয়ায় সে তার মামাবাড়ি থাকে।
গত ১৬ তারিখ, শনিবার বিকাল আনুমানিক ৪.৩০ এর দিকে প্রথমে নাইম (১৬), পিতা নায়েব আলী (৫৪) কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রড দিয়ে প্রচুর মারপিট করে এবং জোরপূর্বক নাইমের বন্ধু তারিকুল কে ডাকতে বলে।
তারিকুল তার বন্ধু নাইমকে তাকে ডাকার কারন জানতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নাইমকে দিয়ে জোরপূর্বক বলায় কাজ আছে তাড়াতাড়ি চলে আয় নাইমের কথা শুনে তারিকুল কাশিনাথপুর ব্রীজের কাছে এলে তরিকুলকেও উল্লিখিত কয়েকজন রড ও পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।
তারিকুলকে মারার কারণ জানতে চাইলে জবাবে স্বাধীন (৩৫), পিতা মাজেদ বিশ্বাস (৬০), রাব্বি (২০), পিতা ওয়াজেদ মোল্যা (৫০) এবং পারভেজ (২০), পিতা সিদ্দিক বিশ্বাস মিলে একযোগে বলে তোকে কেন মারছি জানিস না। তোকে মেরেই ফেলব। স্বাধীন লোহার রড দিয়ে তরিকুলের মাথায় আঘাত করে। যার জন্য তরিকুলের মাথায় ৪ টি সেলাই দিতে হয়েছে। ।
প্রভাতী সংবাদের প্রতিবেদক স্বচক্ষে তারিকুলের দুই পা এবং ডান হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। তরিকুল এখন মাগুরা ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের বেডে আঘাতের যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। আহত নাইম ও তরিকুল জানায় এই নির্মম আঘাতের কারণ হলো একটি মোবাইল নম্বর অন্য এক বন্ধুকে দেয়া বলে জানায়।
এ ব্যাপারে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল ইসলাম এর সংগে কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনাটি তিনি এখনও জানেন না। তাছাড়া মাগুরার বর্তমান পরিস্থিতি খারাপ থাকায় পুলিশ প্রশাসন ভীষণ ব্যস্ত। আগে রুগী সুস্থ হোক তারপর ব্যবস্থা নিবেন।
প্রভাতী সংবাদের প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত এলাকার মেম্বার আজগর লস্কর এর সাথে ঘটনাটি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি এমন ন্যাক্ক্যারজনক ঘটনার নিন্দা জানাই। এর জন্য আমি আঘাত প্রাপ্তদের পাশে আছি এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করবো।
অভিযুক্ত স্বাধীন এর স্ত্রী বলেন, বিষয়টি মিথ্যা কারণ তিনি ঘটনার দিন সকালে বগুড়ায় চলে গিয়েছেন। কিন্তু অভিযুক্ত স্বাধীন এর ছোট বাচ্চা বলেন ভিন্ন কথা। সে জানায় বাবা দৌড়ে কোথায় যেন চলে গেছেন।