প্রভাতি সংবাদ ডেস্ক:
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বুধবার (৩০ মার্চ) মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ক্ষমতাসীন জোট ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপর সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী সপ্তায় জাতীয় পরিষদে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির আগে ক্ষমতা ধরে রাখার শেষ চেষ্টা হিসেবে সেনাপ্রধানের কাছে ছুটে গেছেন ইমরান। এর আগে চলতি সপ্তায় সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইমরান খান। বুধবার রাতেও সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।
২০১৮ সালে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসা ইমরান খান এবার গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছেন। গত ৮ মার্চ বিরোধী জোট জাতীয় পরিষদের স্পিকারের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়। বর্তমানে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর অধিবেশন চলছে। আগামী রবি বা সোমবার অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে।
কাগজে-কলমে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও শরিকদের জাতীয় পরিষদে ১৭৬টি আসন রয়েছে। ৩৪২ আসনের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭২টি আসন। ইতোমধ্যে খবরে প্রকাশ, ইমরান খানের নিজ দলের কয়েকজন সদস্য বিরোধী জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এদিকে এতদিন নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকলেও বুধবার এমকিউএম-পি বিরোধী জোটের সঙ্গে মিলে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর ফলে সরকার বাঁচানোর আর কোনো দৃশ্যমান পথ খোলা রইলো না ইমরান খানের সামনে।
এমন অবস্থায় বুধবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইমরান খান। বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল ইমরান খানের। সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ভাষণের পরিকল্পনাও বাতিল করা হয়েছে।