লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের আধিপত্য কে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে ০১জন গুরুতর আহত সহ চারটি বাস কাউন্টার ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
মঙ্গলবার (২২মার্চ) সন্ধ্যার দিকে কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় বাস শ্রমিক ইউনিয়নের বিবাদমান দুটি গ্রুপ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে গতকাল বিবাদমান দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে বাসষ্টান্ড এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিলো। সন্ধ্যায় মেয়াদত্তীর্ন কমিটির সাধারন সম্পাদক বুলবুল আহমেদ বাসষ্টান্ড এলাকায় এসে প্রতিপক্ষের শ্রমিকদের গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন। খবর পেয়ে প্রতিপক্ষের শ্রমিক নেতা রবিন হোসেন বাপ্পি ঘটনাস্থলে এসে বুলবুলের উপর আক্রমন করে। এতে শ্রমিক নেতা বুলবুল আহমেদ গুরুতর আহত হন।
এই খবর ছড়িয়ে প[লে বুলবুল-আমিনুল সমর্থক শ্রমিকরা লাঠি সোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের চারটি কাউন্টার নাভিলা পরিবহন, বুড়িমারি এক্সপ্রেস, সাদ্দাম পরিবহন, হাজী এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এরপর বুলবুল সমর্থিত শ্রমিকরা মিশনমোড় চত্বরে সড়ক অবরোধ করে ট্রাক ভাংচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। এতে দুইজন সহ মোট ০৩ জন আহত হয়।
লালমনিরহাট বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন কমিটির মেয়াদত্তীর্ন হবার কারনে, নতুন করে নির্বাচনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পুর্নগঠন সহ শ্রমিক ইউনিয়নের নামে ক্রয়কৃত ০৮শতক জমি বিক্রি করার প্রতিবাদে সাধারন শ্রমিকের ব্যানারে একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।
অপর দিকে মেয়াদত্তীর্ন কমিটির সভাপতি শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম ও সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শ্রমিক নেতা বুলবুল আহমেদের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ষ্টান্ডের নিয়ন্ত্রন নেবার চেষ্টা করে আসছে। বিবাদমান দুটি গ্রুপকে প্রকাশ্যে এবং আড়ালে আওয়ামীলীগের কেউ কেউ মদদ দেবার কারনে এই সংঘর্ষের ঘটনা বারবার ঘটছে বলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক নেতা জানান।
এর আগে গত ২০ মার্চ বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার রেশ ধরে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, ব্যবসায়ী নেতা সিরাজুল হকের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পেট্রল পাম্পের সিসি ফুটেজে স্পষ্ট ভাবে হামলাকারীদের দেখা গিয়েছে। এই ঘটনায় শ্রমিক নেতা সিফাদ হোসেন মুন্না বাদী হয়ে একটি মামলা করেন, মামলার বিবরনে হামলার মদদ দানকারী হিসেবে প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতার নাম থাকার কথা স্বীকার করেন।
বাস শ্রমিক ইউনিয়নের আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে লালমনিরহাট জেলার আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে এতে পুলিশ শক্ত অবস্থান গ্রহন করায়, বিবাদ মান দুটি গ্রুপের অভিযোগের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ মামলা দুটোই নথি ভুক্ত করেন। এজাহার নামীয় আসামীদের মধ্যে তিনজনকে পুলিশ ২১তারিখ রাতেই আটক করে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহালম জানান আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর যারাই চেষ্টা করবে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।