যশোর প্রতিনিধি:
একটা বই মেলা হাজারো পাঠক সৃষ্টি করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক- মোবাইল-ডিভাইসের কবল থেকে নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করতে বইমেলার বিকল্প নেই। প্রথমা প্রকাশনের আয়োজনে ছয়দিনব্যাপী যশোর বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে যশোর ইন্সটিটিউট পাবলিক লাইব্রেরির পাঠকক্ষে এই বইমেলার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে অন্য সব অনুষ্ঠান করলে টাকা আকাশে উড়ে যায়। কিন্তু বই মেলার মত অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে টাকা আকাশে না উড়ে আলো ছড়িয়ে দেয়। বইমেলা বাতি ঘরের মত কাজ করে। এজন্যে বেশি বেশি বই মেলার আয়োজন করা দরকার।’
প্রথমা প্রকাশন ও দেশি-বিদেশি বইয়ের বিশাল সমাহার নিয়ে আয়োজিত মেলায় অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন অর রশীদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, ডা. আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জেএম ইকবাল হোসেন, সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের সহযোগি অধ্যাপক ছোলজার রহমান, প্রভাষক শাহজাহান কবীর, প্রসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাজেদ রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন, যশোর ইন্সটিটিউটের লাইব্রেরি সম্পাদক শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ, প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, প্রথম আলো বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা মোয়াজ্জম হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম।
প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলা থেকে বিশেষ ছাড়ে বই কেনার সুযোগ রয়েছে। প্রথমা প্রকাশনের বইয়ে ৩০ থেকে ৬০ ও অন্যান্য প্রকাশনীর বইয়ে ২৫ শতাংশ ছাড় থাকছে। এছাড়া ভারতীয় বইয়ের ক্ষেত্রে এক রুপির বিপরীদে এক টাকা ৫০ থেকে ৮০ পয়সা দরে কেনা যাচ্ছে।
প্রতি বছর যশোরে প্রথমা প্রকাশনের পক্ষ থেকে মেলার আয়োজন করা হয়। সে ধারাবাহিকতায় এ বছরও ছয়দিনের মেলায় গুণী লেখকদের বিভিন্ন বইয়ের পসরা সাজানো হয়েছে।
আয়োজকেরা জানান, পঞ্চমবারের মতো যশোরে প্রথমা প্রকাশনের বই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০১৯ সালে সর্বশেষ মেলায় দুই হাজারের বেশি বই বিক্রি হয়েছে।