যশোর প্রতিনিধি:
যশোরের রুম্মান হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগে আলিম হোসেন হৃদয়কে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। হৃদয় যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি বাবলাতলা আদর্শপাড়ার আব্দুস সমির হোসেনের ছেলে।
রোববার রাত সাড়ে তিনটার সময় নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পেছনের একটি বাগান থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে হৃদয় হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, হৃদয় আদালতে জানিয়েছে মূলত প্রধান অভিযুক্ত আরিফের সাথে রুম্মানের আর্থিক লেনদেন ছিল। সেই সূত্র ধরে তাদের মধ্যে গোলযোগ হয়। আরিফ, মাইমুনসহ আরও কয়েকজন প্রথমে ছুরিকাঘাত করে। পরে হৃদয়ও চাকু দিয়ে রুম্মানকে আঘাত করে দ্রুত তারা সবাই সটকে পরে।
গত ২৫ মার্চ শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে রুম্মানকে হত্যা করে। এ ঘটনায় রুম্মানের ভগ্নিপতি পুরাতন কসবা পুলিশ লাইন গেটের লাইকুজ্জামানের ছেলে আলিমুজ্জামান বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলাটির দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ। তবে, এখনো পর্যন্ত এজাহারভুক্ত আসামিদের কেউই আটক হয়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই সোলাইমান আক্কাস জানান, তদন্তে উঠে আসে হৃদয় ঘটনার সাথে জড়িত। সেই সূত্রধরেই তাকে আটক করা হয় ও হত্যায় ব্যবহৃত চাকুও উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এজাহারভুক্ত আসামিদের আটকে তারা অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।