নিজস্ব প্রতিবেদক;
যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ২০৪জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া মারা গেছেন ৫জন।
উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের দুই পৌরসভায় চলমান লকডাউন বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন আরো একটি পৌরসভাসহ কয়েকটি স্থানে আজ সকাল থেকে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।
এদিকে করোনা রোগীদের ভর্তি ও লকডাউন কার্যকর নিয়ে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। অবশ্য প্রশাসন বলছে তারা সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ৪১৪জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০৪জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ। গতকাল এ হার ছিল ৪৭ শতাংশ। আজ মারা গেছেন ৫জন।
এদের মধ্যে শার্শা, অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেড জোনে তিনজন ও যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ২জন রোগী মারা গেছেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে ২০জন মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১১৫জন।
এদিকে উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের দুই পৌরসভায় চলমান লকডাউন বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন করে ঝিকরগাছা পৌরসভা, যশোর সদর উপজেলার উপশহর, নওয়াপাড়া, আরবপুর ও চাঁচড়া ইউনিয়নে, শার্শা উপজেলার শার্শা ইউনিয়নে এবং বেনাপোল বাজারে আজ সকাল থেকে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান।
এদিকে করোনা রোগীদের ভর্তি নিয়ে জটিলতার অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ মানুষ। সেইসাথে লকডাউন কার্যকর করতে আরো কঠোরতা আরোপের কথা বলেছেন তারা।
মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রিত ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় নেতাদের কাজে লাগানো হচ্ছে। শিগগিরই এর ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান।