নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর অনেকেরই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া সেদিক থেকে নিরাপদ আছেন। তবে টিকা নেওয়ার পর তিনি ব্যথায় ভুগছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার বিকালে টিকা নেওয়ার পর বুধবার রাতে তার ব্যথা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত একজন চিকিৎসক।
ওই চিকিৎসক বলেন, বুধবার বিকালে ঢাকার মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউটে থেকে টিকার তৃতীয় ডোজ নেন তিনি। এরপর রাত থেকেই শরীরে ব্যথা কিছুটা বেড়েছে।
তবে অন্য অসুস্থতা কিছুটা ভালো থাকায় আপাতত খালেদা জিয়ার হাসপাতালে যাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেও জানান তিনি।
ওই চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ধীরেধীরে উন্নতি হচ্ছে। স্বাস্থের প্যারামিটারগুলো মোটামুটি স্বাভাবিক আছে। সম্প্রতি সিবিসি, ক্রিয়েটিনিন, ইলেকট্ররাইলসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এসবের রেজাল্টে সবকিছু স্বাভাবিক এসেছে। ইনসুলিন দিয়ে ডায়বেটিস প্রায় নিয়ন্ত্রণে আছে। হিমোগ্লোবিন দশের কাছাকাছি আছে। খাবারে কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে। কিছু সমস্যার কারণে লিকুইড ছাড়া তেমন কিছু খাওয়া যাচ্ছে না।
এই চিকিৎসক আরো জানান, আপাতত হাসপাতালে যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া। এভার কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোস্টার করে বাসায় এসে দেখে যাচ্ছেন। তবে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এভার কেয়ার নিশ্চয়ই দেশের জন্য সেরা।
খালেদা জিয়াকে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে। এই হাসপাতাল থেকেই গত বছরের ১৯ জুলাই কোভিড টিকার প্রথম ডোজ এবং ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। প্রথম দুই ডোজ হিসেবে মডার্নার টিকা নিয়েছিলেন তিনি।
২০২০ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে গত বছর প্রায় তিন মাস হাসপাতালে ছিলেন। তখন তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। চিকিৎসা নিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন তিনি।