জেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জঃ
সুনামগঞ্জের ছাতকে মন্দিরে ঢুকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবতার ওপর পা রেখে ছবি তুলেছে এক মাদরাসাছাত্র। পরে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে অবমাননার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার মো. ফাহিম আহমেদকে (২০) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় গ্রামের মো. রিপন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: ওয়াজ মাহফিলের ইতিবৃত্ত
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও শ্রীশ্রী লোকনাথ মন্দিরের ভেতরে ছবি তুলে তিনি তার ফেসবুত আইডিতে পোস্ট করেন। শুক্রবার বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে।
আরও পড়ুন: ‘যে নারী পুরুষের সঙ্গে পাবলিক বাসে উঠে, ইমাম মাহাদীর বিরুদ্ধে এরাই যুদ্ধ করবে’
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের শ্রীশ্রী লোকনাথ মন্দির পরিচালনা কমিটি ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফাহিমসহ তিন যুবক গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মোটরসাইকেলে এসে ব্রাহ্মণগাঁও শ্রীশ্রী লোকনাথ মন্দিরে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক জুটির সালিশে গিয়ে বাল্যবিবাহ চেয়ারম্যানের
এসময় পুরোহিতসহ কেউ মন্দিরে ছিলেন না। ওই সুযোগেই তারা দেবতাকে অবমাননা করে ছবি তোলে। শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে এলাকাবাসী ফেসবুকে মন্দিরের বিগ্রহের ওপরে পা রাখার ছবি দেখতে পান। খবর পেয়ে থানার ওসিসহ অন্যান্য লোকজন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করেন।
আরও পড়ুন: তোহা আদনানের দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতো না পরিবার
সকালে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) কাজী মোক্তাদীর মন্দিরে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ছেলের পরিচয় উদ্ধার করেন। এলাকাবাসীর দেওয়ার তথ্য মতে পুলিশ তাকে শুক্রবার বিকেলে গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
মন্দিরের পুরোহিত অদ্বৈত চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দেবতাকে অবমাননা করে এভাবে কেউ ছবি তুলে প্রচার করবে ভাবতেও পারিনি। আমাদের ধর্মাবলম্বিরা এ ঘটনায় মর্মাহত। আমরা বিচার চাই।
আরও পড়ুন: ত্ব-হা যে বন্ধু সিয়ামের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলো সে হারালো চাকরি
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ছবিটি দেখার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে এসপি মহোদয়সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কেউ বিশৃংখলা সৃষ্টি করার চেষ্টাকারীকে আমরা ছাড় দিব না।