প্রভাতী বার্তাকক্ষ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষাধিক নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান একাত্তরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পুত্রের এ জননী।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের কাছে জাহানারা ইমাম দেশপ্রেম, ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অনন্য প্রেরণার উৎস হিসেবে আজও অবিস্মরণীয়।
১৯২৯ সালের ৩ মে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুরে জন্মগ্রহণ করেন জাহানারা ইমাম। তার ডাক নাম ছিল জুড়ু। জাহানারা ইমামের বাবা সৈয়দ আবদুল আলী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। মায়ের নাম সৈয়দা হামিদা বেগম। জাহানারা ইমাম ম্যাট্রিক পাস করেন ১৯৪২ সালে। ১৯৪৪ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে আইএ পাস করে ১৯৪৫ সালে কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে বিএ পাস করেন ১৯৪৭ সালে। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৪ সালে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখান থেকে ফিরে ১৯৬৫ সালে বাংলায় এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার ছেলে রুমী শহীদ হন। স্বামী শরিফ ইমামও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অসুস্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। এক সন্তান হারিয়ে সারাদেশের সব মুক্তিযোদ্ধার জননী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সবার কাছে পরিচিত হয়েছিলেন শহীদজননী হিসেবে।
আজ বিকেল ৩টায় শহীদজননীর মৃত্যুবাষিকী উপলক্ষে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। এতে আলোচনার বিষয় ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের নারী সমাজের অবদান’। ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সভাপতিত্ব করবেন নির্মূল কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। এতে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান’ বিষয়ে ‘জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা’ দেবেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন।