নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগের দায় স্বীকার করেছে এস হেফাজত নেতা। গ্রেপ্তার হেফাজতের নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুফতি বশির উল্লাহ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. বদিউজ্জামানের আদালতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জবানবন্দি দেন তিনি।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান প্রভাতী সংবাদকে জানান, হরতালে সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে পুলিশের করা মামলার আসামি মুফতি বশির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ১৪ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় লন্ডন মার্কেট এলাকার বাড়ি থেকে বশির উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল এলাকা পর্যন্ত নাশকতা ও তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে বশিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
তিনি আরও জানান, এ মামলায় বুধবার বশিরকে দুই দিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদে মুফতি বশির তাণ্ডব পরিচালনাকারী কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় একাধিক নেতার নাম প্রকাশ করেছেন।
তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম গোপন রেখে যাচাই-বাছাই চলছে বলেও জানান পিবিআইয়ের এ কর্মকর্তা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসার প্রতিবাদে ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলাম হরতাল ডাকে।
এদিন সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড় থেকে শিমরাইল এলাকা পর্যন্ত সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক সহিংসতা চালান।
যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্তত ৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় ১৮টি গাড়িতে।
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৯টি মামলা হয়েছে।