যশোর ব্যুরো
যশোর জেলায় একশ পরিবারকে জমিসহ ঘর উপহার পেলেন। প্রধানমন্ত্রী রবিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপকারভোগী পরিবারের কাছে তিনি নবনির্মিত এসব ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
যশোর জেলায় মুজিববর্ষে ১ম ও ২য় পর্যায়ে এ পর্যন্ত মোট ১,১৭৩টি ঘর নির্মিত হয়েছে। যশোর জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ঝিকরগাছায় ১৪টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হবে। হস্তান্তরযোগ্য একশ ঘরের নির্মাণ, ভূমি বন্দোবস্ত, কবুলিয়ত দলিল রেজিস্ট্রি ও নামজারি শেষ হয়েছে।
পুনর্বাসিত পরিবারের জন্য নির্মিত প্রতিটি ঘরে দুইটি কক্ষ, একটি বারান্দা, একটি টয়লেট এবং একটি রান্নাঘর সংযোজিত আছে। দৃষ্টিনন্দন এসব ঘর ইটের দেয়াল ও গাঁথুনি এবং রঙিন টিনের ছাউনিবিশিষ্ট। প্রতিটি ঘরে জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আরাফাত রহমানের নেতৃত্বে গঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি’র মাধ্যমে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
ঝিকরগাছার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী নাজিব হাসান। বলেন, মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনের মাইলফলকের এই উৎসব উপজেলা প্রশাসন, ঝিকরগাছা,যশোর স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ অনুসরণ করে আয়োজন নিশ্চিত করবে।
যশোর সদর উপজেলা পরিষদের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল হাসান, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।
ঝিকরগাছা উপজেলায় ঘরের চাবি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, ইউএনও আরাফাত রহমান।