প্রভাতি সংবাদ:
নাজমুল ইসলাম অপুর ঘূর্ণি জাদুর পর ব্যাট হাতে এনামুল হক বিজয়দের দৃড়চিত ব্যাটিংয়ে মিনিস্টার ঢাকাকে উড়িয়ে দিয়েছে সিলেট সানরাইজার্স। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু হয়েছিল যাত্রা, এক ম্যাচ না যেতেই জয়ের দেখা পেয়েছে সুরমা পাড়ের দলটি।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিপিএলের চতুর্থ দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামে ঢাকা-সিলেট। আগে ব্যাটিং করে ব্যাটসম্যানদের বাজে পারফর্ম্যান্সে টেনেটুনে ১০০ করে ঢাকা। রান তাড়া করতে নেমে ১৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট।
৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন অপু। ৪০২ দিন পর প্রতিযোগিতা মূলক ক্রিকেটে ফিরে বল হাতে সফল ছিলেন মাশরাফি। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সিলেটের ৩ উইকেটের মধ্যে দুটিই ছিল তার পকেটে, কিন্তু স্কোরবোর্ডে পুঁজি না থাকায় মাঠ ছাড়তে হয়েছে হার নিয়ে।
লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ ওভারে লেন্ডল সিমন্সের (১৬) উইকেট হারায় সিলেট। ওপেনার বিজয় এবার মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে এগিয়ে যান। দুজনে খেলতে থাকেন স্বাচ্ছন্দ্যে। ১৫ বলে ১৭ রান করে মিঠুন আউট হলে ভাঙে ৩৮ রানের জুটি। এরপর বিজয়-কলিন ইনগ্রাম মিলে দলকে নিয়ে যান জয়ের দিকে। জয় থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে মাশরাফির বলে আউট হন বিজয়। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৪৫ রান। নতুন ব্যাটসম্যান বোপারার ব্যাট থেকে আসে জয়ী রান। ইনগ্রাম ২১ ও বোপারা ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে ব্যাট হাতে ব্যাটসম্যানদের হতশ্রী পারফর্ম্যান্সে, টেস্টে মেজাজে ব্যাটিংয়ে মিনিস্টার ঢাকার স্কোর তিন অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই গুটিয়ে যাচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত এই রুবেলের ব্যাটেই কোনোমতে টেনেটুনে একশ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
১ ছয় ও ১ চারে ৬ বলে ১২ রান করেন রুবেল। তার এই ইনিংসটি না হলে চলতি আসরে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জা পেতো ঢাকা। এর আগে ৯৬ রান করেছিল সিলেট। রুবেলের আউটে ৮ বল আগে ঢাকার ইনিংসের ইতি ঘটে। তার উলটো ব্যাটিং করেছেন মোহাম্মদ নাঈম। ৫০ স্ট্রাইকরেটে ৩০ বলে ১৫ রান করেন জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের এই ওপেনার! আউট হয়েছেন ক্রিজে সেট হয়ে।
ঢাকার শুরুটা হয়েছিল বাজেভাবে। ১৭ রানে দলটি হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। এরপর নাইম- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটিতে কিছু রান পায় ঢাকা। নাঈমের আউটে ভাঙে ৪১ বলে ৪০ রানের জুটি। কিন্তু এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের টেস্ট মেজাজে ব্যাটিংয়ে দলটি আরও বিপদে পড়ে। ৩ চারে মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ২৬ বলে ৩৩ রান করে।
চাপের মধ্যে ঢাকা আবার বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়। আন্দ্রে রাসেলের (০) ব্যাট হয়ে প্যাডে বল লাগলেও আম্পায়ার আউট দিয়ে দেন। শুভাগত কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন (১৬ বলে ২১) কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন অপু। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিনি এই উইকেটগুলো নেন। এ ছাড়া ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ২ উইকেট নেন সোহাগ গাজী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মিনিস্টার ঢাকা: ১০০/১০ (১৮.৪ ওভার)
রিয়াদ ৩৩, শুভাগত ২১
অপু ১৮/৪, তাসকিন ২২/৩, গাজী ১৭/২
সিলেট সানরাইজার্স: ১০১/৩ (১৭ ওভার)
বিজয় ৪৫, ইনগ্রাম ২১*, মিঠুন ১৭, সিমন্স ১৬
মাশরাফি ২১/২, মুরাদ ৩১/১
ফল: সিলেট সানরাইজার্স ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাজমুল ইসলাম অপু।