`সপ্তাহ খানেক আগে রাতুলকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কিনে দিয়েছিলাম। গত রবিবার (১১জুলাই) দুপুর ৩টার পরে সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে।’
এস এ সিয়াম, চৌগাছা(যশোর):
যশোরের চৌগাছায় পাট ক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত তরুনের লাশের পরিচয় মিলেছে। লাশটি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাজীপোতা গ্রামের স্কুল ছাত্র রাতুলের বলে নিশ্চিত করেছেন তার পিতা মহিউদ্দিন।
রাতুল (১৭) মহেশপুর শ্যামবাজার এমপিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী বলেও জানিয়েছেন তার ফুপ্পা ইমরুল হক।
রাতুলের বাবা মহিউদ্দিন বলেন, `সপ্তাহ খানেক আগে রাতুলকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কিনে দিয়েছিলাম। গত রবিবার (১১জুলাই) দুপুর ৩টার পরে সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে।’
মাগরিব থেকে এশার মাঝামাঝি তার সাথে আমার শেষ কথা হয়। সেদিন ইংল্যান্ড বনাম ইটালির ফাইনাল খেলা ছিল। আমি ভেবেছিলাম আমার ছেলে বোধহয় ওর স্কুলের বন্ধুর সাথে খেলে দেখে ওখানেই থেকে গেছে। গতকাল সোমবার তার লাশের খবর আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে পেয়েছি।”
তবে কেনো, কি কারনে ছেলেকে খুন করা হয়েছে জানেন না হতভাগ্য রাতুলের পিতা মহিউদ্দিন।
রাতুলের ফুপ্পা চৌগাছার তেঘরি গ্রামের ইমরুল বলেন,“ রবিবার রাত ৮টো বা সাড়ে ৮টার দিকে রাতুলের সাথে ওর বাবার শেষ কথা হয়। তারপরে আর কথা হয়নি। সোমবার দুপুর পর্ন্তন্ত রাতুলের সংবাদ না পাওয়ায় মহেশপুর থানায় জিডি করতে চেয়েছিল রাতুলেরর পিতা। এর মধ্যে ফেসবুকে লাশের ছবি দেখে তাকে চিহ্নিত করা হয়।
রাতুলের অন্য এক নিকট আত্নীয় রবিউল ইসলাম লাল্টু বলেন, মহিউদ্দিন আর তার ছেলে রাতুল ওরা খুব ভাল লোক। কি কারনে রাতুলকে খুন করা হয়েছে বুঝতে পারছিনা।
উল্লেখ্য গত সোমবার (১২জুলাই) আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়কের মনমথপুর গ্রাম পার হয়ে বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ের শ্মশানের কাছে (লস্করপুর মাঠ নামে পরিচিত) চানপুর গ্রামের অমেদ আলীর পাট ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত একটি লাশ উদ্ধার করে চৌগাছা থানা পুলিশ। লাশের মুখে কসটেপ প্যাচানো ছিল।
স্থানীয়রদের খবরে, চৌগাছা থানার এসআই আতিক ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি পুলিশ হেফাজতে নেন। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাতুল হত্যাকান্ডে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন এসআই আতিক।