নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের কারণে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
একইসঙ্গে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।জাতিসংঘের এ আহ্বানকে বিরল বলছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন স্ক্র্যানার বার্গেনার সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ‘মিয়ানমারে ব্যাপকভাবে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার বড় সম্ভাবনা রয়েছে। যেটা করার আমাদের দ্রুত সেটা করতে হবে। সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর সম্ভাবনা ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে।’
জাতিসংঘের এই প্রস্তাবে ১১৯টি দেশ সমর্থন দিয়েছে। একমাত্র বেলারুশই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে চীন ও রাশিয়াসহ মোট ৩৬টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত ছিল। চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে।
‘নির্বাচনে অনিয়মের’ অভিযোগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেয় সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে দেশটির লাখ লাখ মানুষ সেনাশাসনের অবসানের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন। গৃহবন্দি নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি এবং নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি করছেন তারা।
বিক্ষোভের প্রথম পর্যায়ে সামরিক বাহিনী দৃশ্যত সংযমের পরিচয় দিলেও ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিক থেকে ক্রমশ অসহিষ্ণু হয়ে উঠতে থাকে। আন্দোলন দমনে রাবার বুলেট-জলকামান-টিয়ারশেলের পরিবর্তে প্রাণঘাতী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করেন মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে টানা আন্দোলনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮৫০ গণতন্ত্রকামীর প্রাণহানি ঘটেছে।