যশোর প্রতিনিধি:
ন্যানো জৈবপ্রযুক্তি সংক্রান্ত ২০১৮ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী মিশন (ইউজিসি) স্বর্ণপদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জাভেদ হোসেন খান। গতকাল সোমবার ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেনের স্বাক্ষর করা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মো. কামাল হোসেনের স্বাক্ষর করা পত্রে বলা হয়, ‘আপনার প্রণীত ২০১৮ সালে প্রকাশিত উপর্যুক্ত শিরোনামের গবেষণা প্রবন্ধটি ইউজিসি স্বর্ণপদকের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এই পদক প্রদান করে থাকেন।’
ইউজিসি স্বর্ণপদকে নির্বাচিত হওয়ায় ড. মো. জাভেদ হোসেন খানকে অভিনন্দন জানিয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ড. জাভেদ হোসেন খান অত্যন্ত দক্ষ ও কর্মঠ একজন বিজ্ঞানী। তাঁর ল্যাব থেকে তিনটি ‘প্যাটেন্ট রাইট’-এর জন্য আবেদন করা হয়েছে। আমরা তাঁর জন্য গর্বিত। স্বর্ণপদকে নির্বাচিত হওয়ায় আমি ড. জাভেদকে যবিপ্রবি পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
ড. মো. জাভেদ হোসেন খান ২০১২ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল বিভাগে যোগ দেন। এর আগে তিনি জাপানের ওয়াসিদা ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১১ সালে ডক্টর অব ইঞ্জিনিয়ারিং, ২০১৪ সালে জাপানের তোহোকু ইউনিভার্সিটি ও ২০১৭ সালে চীনের হেনান ইউনিভার্সিটি থেকে পোক্ট ডক্টরাল ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ন্যানো প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণার উন্নয়নের লক্ষে তিনি পৃথিবীর সাতটিরও বেশি দেশের সাথে যৌথ গবেষণা প্রকল্প তত্ত্বাবধানের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ে ‘এনএএমই ল্যাব’ স্থাপন করেন। ইতোমধ্যে এ ল্যাব থেকে তিনটি ‘প্যাটেন্ট রাইট’-এর জন্য আবেদন করা হয়েছে। ড. মো. জাভেদ হোসেন খানের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকীতে ৯৫টির বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি ৬০টির বেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেছেন। বর্তমানে তিনি যবিপ্রবির কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সেন্টার ফর সফিস্টিকেটেড ইনস্ট্রুমেন্টেশন রিসার্চ ল্যাবরেটরির উপ-পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে এলসভিয়ার থেকে প্রকাশিত বিশে^র সেরা গবেষকদের তলিকায় ড. মো. জাভেদ হোসেন খান স্থান করে নেন। গবেষণায় অবদান রাখায় যবিপ্রবি থেকে সেরা গবেষক হিসেবে তিনি পুরস্কৃতও হয়েছেন।