চৌগাছা প্রতিনিধি:
যশোরের চৌগাছায় মাছ চুরির অপরাধে সোহেল (১৭) নামে এক যুবককে বেঁধে পিটিয়েছে পুকুরের মালিক।
মঙ্গলবার উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের কাসেম ভাটার মালিক এমনই একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে একটি ভিডিও পাওয়া ইন্টারনেটে ছড়িয়ে গেছে। রকি সোহেল নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে এদিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে ভিডিওটি আপলোড করা হয়। পরে ভিডিওটি ডিলিটও করা হয়েছে। সোহেল খড়িঞ্চা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। ঘটনার পরে ছেলেটিকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ভাটা মালিক আবুল কাশেম বলেন ওই ছেলেকে আমার পুকুর পাহারা দেওয়ার জন্যে রেখেছিলাম। কিন্তু কয়েক দিন আগে সে গ্রাম থেকে একটি মাছ ধরার জাল নিয়ে এসে রাতে আদারে আমার সেই পুকুরের মাছ চুরি করতো। সেই অপরাধে তাকে একটু মেরেছি। মাছ চুরির অপরাধে আপনি কাউকে এভাবে দড়ি দিয়ে বেধে পিটাতে পারেন কিনা উত্তরে তিনি বলেন,“চোর ধরা পড়লে কি হয়?”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরূপদাহ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর মান্নান বলেন, আমি সারাদিন ইউনিয়ন পরিষদে ছিলাম। ঘটনাটি আমি ঠিক জানি না। তবে শুনেঠি ছেলেটি নাকি মাছ চুরি করেছিল। পরে তার মা এসে তাকে নিয়েগেছে। এঘটনায় ভূক্তভোগীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বর আদুুরির স্বামী বিল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, সোহেলদের বাড়ি আমার বাড়ির পিছনে। মারধোর খেয়ে সে গ্রাম থেকে চলে গেছে। এছাড়াও সোহেলকে তার মা, বোন ও সোহেলের চাচিকে দিয়ে কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে তারপরে ছাড়া হয়েছে।
সোহেলের মা রহিমা বেগম বলেন, আমি খবর পেয়ে গিয়ে দেখি সোহেল দাড়িয়ে আছে। পরে কাশেম আমার, আমার মেয়ে রতœা ও সোহেলের চাচি ফেরদৌসির স্বাক্ষর করিয়ে তারপরে সোহেলকে ছেড়েছে।
সোহেলের ছোট বোন রতœা জানিয়েছেন যে কাগজে তারা স্বাক্ষর করেছেন তা ভাটার ম্যানেজার বকুল লিখেছে আমরা শুধু স্বাক্ষর করে ভাইকে ছাড়িযে এনেছি।
তবে এ বিষয়ে তারা থানায় কোনো অভিযোগও করবেন না বলেও জানিয়েছেন।