প্রভাতি সংবাদ:
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ হলেও এর রেশ এখনো রয়েই গেছে। সমিতিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে এখনো চলছে মামলা। যা কিনা আগামী ৪ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা হয়েছে। আর এই সময়ের আগে জায়েদ খান ও নিপুণ কেউই সেই চেয়ারে বসে দায়িত্ব পালন করতে
পারবে না বলে আদালত স্পষ্ট বলে দিয়েছেন।
আদালত নির্দেশ দিলেও তা মানছেন না নিপুণ আক্তার। অমিমাংসিত বিষয়টি নিয়ে সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন শনিবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যকরী পরিষদের মিটিং সম্পন্ন করেছেন। সে মিটিংকে অবৈধ উল্লেখ করে তাতে উপস্থিত ইলিয়াস কাঞ্চনসহ ১১ জনকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন জায়েদ খান।
সোমবার (২৮ মার্চ) ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণদের এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জায়েদের পক্ষে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন তার আইনজীবী তানভীর হোসেন খান।
নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, নিপুণ আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মামনুন ইমন, কোষাধ্যক্ষ আজাদ খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অঞ্জনা, কেয়া, জেসমিন আক্তার, অমিত হাসান ও নাদের খান।
নোটিশে বলা হয়, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ও সরকারি সাধারণ ছুটির দিনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মিটিং আয়োজন করা হয়েছে কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে এবং তা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পুরোপুরি লঙ্ঘন।
সকল নোটিশ গ্রহীতাকে অনুরোধ জানানো হয়, ২৬ মার্চের মিটিংয়ের কার্যবিরণী বাতিল করার। একই সঙ্গে নিপুণকে যাতে আর কোনো মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ না দেওয়া হয় গত ১৪ মার্চ আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশ অনুযায়ী।
একইসঙ্গে জানানো হয়, নোটিশ গ্রহিতাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে এ ধরনের কার্যক্রম কেন করা হয়েছে, তার লিখিত জবাব দিতে। অন্যতায় আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।
জায়েদ খান নোটিশটির ব্যাপারে বলেন, আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছি সবসময়। অন্যদিকে তারা একের পর এক আদালত অবমাননা করেই যাচ্ছে। নিপুণ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যে মিটিং করেছে তা আদালতের রায়ের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই নোটিশ পাঠিয়েছি।
প্রসঙ্গত, ২৮ জানুয়ারি শেষ হওয়া শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে অপেক্ষা বেড়েছে। গত ২ মার্চ জায়েদ খানের পক্ষে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর শপথ নিয়ে চেয়ারে বসেছিলেন জায়েদ খান।
তবে গত ৬ মার্চ শুনানি শেষে জায়েদ খানকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। আগামী চার সপ্তাহ এ পদে স্থিতাবস্থা থাকবে বলেও আদেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের একক বেঞ্চ।