মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
মণিরামপুরে এলজিএসপি-৩ (লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩) প্রকল্পের অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। নতুন রং আর নেমপে¬ট বদল করে বিগত অর্থ বছরের বরাদ্দে স্থাপিত টিউবওয়েল চলতি অর্থ বছরে দেখিয়ে বিল উত্তোলনসহ কৃষকের মাঝে স্প্রে ও দুঃস্থ মহিলাদের সেলাই মেশিন বিতরণ-প্রশিক্ষণে অনিয়ম দুর্নীতির খবর পাওয়া গেছে। নিন্মমানের স্প্রে মেশিন প্রায় তিনগুন মূল্য বেশি দেখিয়ে ৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ও সেলাই মেশিন প্রশিক্ষন-বিতরনের নামে ২ লাখ টাকা হজম করা হয়েছে। উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নে এ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
মশ্মিমনগর ইউনিয়ন প্রথম কিস্তিতে ৫ লাখ ২১ হাজার ৯০০ টাকা ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা বরাদ্দ পায়। অনুসন্ধানে জানাযায়,উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নে আরএফকিউ ক্রয় পদ্ধতিতে বরাদ্দের প্রথম কিস্তির অর্থে বরাদ্দের ৪ নম্বর স্কিমে দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন ক্রয় ও প্রশিক্ষনের নামে দুই লাখ টাকা নয়-ছয় করা হয়েছে। এতে ইউনিয়নের সাত,আট ও নয় নম্বর ওয়ার্ডে ৫৫ হাজার টাকায় ৫ টি সেলাই মেশিন বিতরন ও বাকি এক লাখ ৪৫ হাজার টাকায় প্রশিক্ষনের কথা বলা হলেও তা আদৌ হয়নি বলে অভিযোগ। একই কিস্তি ও বরাদ্দের ৫ নম্বর স্কীমে এবং দ্বিতীয় কিস্তির এক নম্বর স্কীমে আরএফকিউ ক্রয় পদ্ধতিতে যথাক্রমে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকায় সর্বমোট চার লাখ ৫৭ হাজার টাকায় ১৬ লিটার ধারন ক্ষমতা হাত চালিত স্প্রে মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে।
যার প্রতিটি স্প্রে মেশিনের মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭৭০ টাকা। কিন্তু অখ্যাত আহম্মেদ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের এই কোম্পানির এই স্প্রে মেশিনের বাজার মূল্য ১ হাজার টাকা বলে জানাগেছে। অথচ ভাল মানের ব্যাটারি চালিত স্প্রে মেশিনের দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা। বাকি টাকা হজম করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন অভিযোগের ব্যাপারে সদুত্তর না দিয়ে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে ফোন কেটে দেন, অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থ্য নিতে স্হানীয় সরকার উপ পরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এলকাবাসীর জানান ১০ নং মশ্মিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বিগত ৫ বছর ও বর্তমান দায়িত্ব পালনে পরিষদ ভবন পরিকল্পিত ভাবে অকার্যকর করে তুলেছেন। তিনি পরিষদের অফিস ব্যাবহার না করে নিজ বাড়ী সংলগ্ন কাঠালতলা বাজারে ছোট্ট একটি কুড়ে ঘরে অফিস নিয়ে পরিষদের সকল কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন নিজের ভাগ্নেকে দিয়ে নিজের খেয়াল খুশি মতো।সেখানে বসে ইউপি সদস্যদের (মেম্বার) কে ডেকে নিয়ে সকল প্রকল্প নিজের মতো বন্টন সহ প্রকল্প ফাইলে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।তার কথায় রাজি না হলে তিনি সেখানেই নিজের ভাগ্নে কে দিয়ে চালান নির্যাতন।কুড়ে ঘরে অফিস না যেন নির্যাতন সেল বলে দাবী ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মুনছুর আলীর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট লিখত অভিযোগ দিয়ে ও পাননি বিচার , চেয়ারম্যান আবুল হোসেন গাজী পরিষদ অফিস বাদ দিয়ে কাঁঠালতলা মোড়ে গোপন ঘর বানিয়ে সকল জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দিনের পর দিন নির্যাতন চালিয়ে আসছেন পৌষ্য বাহিনী নিজের ভাগ্নেকে দিয়ে ।এমনকি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন গাজী নিজেস্ব বাহিনী দিয়ে ট্যাক্স আদায়,দোকানের লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধন ফি,ওয়ারেশ কাম বাবদ ফি,নাগরিক সনদ, ফেয়ার প্রাইজ,ভিজিডি,ভিজিএফ,বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা কার্ড,কর্মসূচি কাজ, টিসিবি কার্ড সহ এমন কোন প্রকল্প নাই যে সেখানে তার বাহিনী প্রধান ভাগ্নেকে দিয়ে অর্থ আদায় করেনি।
তিনি সরকারি বেসরকারি সংস্থা থেকে অসহায় মানুষের মাঝে আসা বরাদ্দ না দিয়ে নিজে এবং নিকট আত্মীয়কে দিয়ে ভোগ করান। তিনি পরিষদের অফিস ব্যাবহার না করে নিজ ঘরে বসে বাহিনী দ্বারা ইউনিয়নবাসীকে শাসন করে আসছে বলে জানান অত্র ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মুনছুর আলী।তিনি আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান হয়েও জামাত ও বিএনপির লোকজন নিয়ে চলাফেরা করেন চাকলার ইউপি সদস্য মারা গেলে উপ নির্বাচনে জামাত শিবির পরিবারের সন্তান সেলিম কে তিনি মেম্বার বানান ভোটারদের হুমকি ধামকি দিয়ে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে যানা গেছে চেয়ারম্যান আবুল হোসেন কে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কেউ সমর্থন করেন না তার এ সমস্ত অপকর্মের কারনে ।