ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আওয়ামী লীগের পুনর্নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতা ফিরে আসার পরে দেশে আর কোনো কাঁচা রাস্তা থাকবে না। তিনি বলেন, ‘আমি জানি এখনো অনেক গ্রামে কাঁচা রাস্তা আছে। সেগুলো আল্লাহর রহমতে থাকবে না। আবার যদি জনগণের সেবা করার সুযোগ পাই, নিশ্চয় আমরা সেগুলো করে দেব। কারণ শহরের মতো প্রত্যেকটা গ্রাম গড়ে উঠবে।’
গত ২৭ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামলে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বাগুন বেড়েছে। ৯৬ সালে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল, এখন চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে উঠে গেছে। এর ফলে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ অধিগ্রহণ করতে পারছে। শিক্ষার্থীদের বই, বৃত্তি, উপবৃত্তি দেওয়া হয় এবং ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর এখন ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। এটা দিয়ে মানুষের জীবন সাধারণ করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে খালেদা জিয়া। আজ কৃষকের ঘরে সার পৌঁছে যায়। তাদের কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি। এটা দিয়ে কৃষি উপকরণ কিনতে পারে। ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এর মাধ্যমে ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের কাছে পৌঁছে যায়। জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দিই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ৭৩ শতাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ঘরে ঘরে মোবাইল ফোন। আমি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করি। দেশে কোনো মানুষ দরিদ্র আর থাকবে না। নানাভাবে তাদের এগিয়ে নেওয়ার কাজ করছি। প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতা দিচ্ছি। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের স্বীকৃতি ও তাদের ভাতাও দিচ্ছি। পাঁচ কোটি মানুষের পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি। এটা দিয়ে তারা স্বল্পমূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে।’
শেখ হাসিনা তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তৃণমূলের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সেবক। আপনারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করে মানুষের আস্থা অর্জন করে এগিয়ে যাবেন। মানুষ যেন আবার ভোট দেয়, সে পরিবেশ তৈরি করবেন। আমরাও এটা চাই, আজকে যে দীর্ঘদিনের উন্নয়নের ফসল, এটা যেন অব্যাহত থাকে। কেউ যেন পিছিয়ে দিতে না পারে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আমরা আরো উজ্জ্বল করে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।’
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, রাজশাহীর মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী, খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সহ বিভিন্ন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম স্বাগত বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের প্রণোদনা এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দেশের নাগরিকদের জন্য নতুন আশা ও সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। তার উপদেশে প্রগতি ও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে সবাই উৎসাহিত হবে বলে সবাই মনে করেন।